আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়া থেকে তেল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এ ছাড়া সন্দেহভাজন যুদ্ধাপরাধের জন্যও মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে চায় ২৭ সদস্যের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জোটটি।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন দের লিয়েন বলেন, এ নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য হবে ইউরোপের ক্ষতি কমিয়ে এনে রাশিয়ার ওপর চাপ বৃদ্ধি। খবর বিবিসির।
এ ছাড়া বুচা ও মারিওপোলে যে সব সেনা কর্মকর্তা যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে জানান তিনি।
বুধবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ভন দের লিয়েন বলেন, এ পদক্ষেপ যুদ্ধে জড়িত মস্কোর অপরাধীদের জন্য একটি বার্তা। বার্তাটি হলো— আমর জানি, আপনি কে এবং আপনাকে জবাবদিহি করতে হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বেশ কিছুদিন ধরে কীভাবে রাশিয়ার তেল ও গ্যাস ছাড়া চলা যায় সেদিকে মনযোগ দিচ্ছে।
জোটটি ইতোমধ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ২০২২ সালের শেষ নাগাদ রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানি দুই তৃতীয়াংশ কমাবে। আর এখন পরিকল্পনা করছে অপরিশোধিত তেল ছয় মাসের মধ্যে ও পরিশোধিত পণ্য ২০২২ সালের শেষ নাগাদ আমাদানি বন্ধ করার।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা নিশ্চিত করব যে, আমরা একটি সুশৃঙ্খল পন্থায় রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করব।
স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরি রাশিয়ার তেলের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। বিকল্প সরবরাহকারী খুঁজে নিতে তাদের অতিরিক্ত এক বছর সময় দেওয়া হবে।
এদিকে রাশিয়ার তিনটি টিভি চ্যানেল ও তিনটি ব্যাংকের ওপর বিধিনিষেধ আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্যাকেজটি প্রথমে ইইউ রাষ্ট্রদূতদের দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই তা করা হতে পারে।
-এএ