আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পবিত্র মসজিদে নববীতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও তার প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য করে ‘চোর’ বলে স্লোগান দেওয়ার বিষয়টিকে ‘জন প্রতিক্রিয়া’ হিসেবে দেখছেন পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলছেন, এটা পাকিস্তানের ওইসব রাজনীতিকের পরিণাম।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, ঘটনার কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা পরে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন ইমরান খান।
এদিকে এ ঘটনায় কমপক্ষে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। বলা হচ্ছে, অভিযুক্তরা ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের নেতাকর্মী।
বিষয়টি নাকচ করে ইমরান খান বলেন, দেশের ইতিহাসে এমন ‘জন প্রতিক্রিয়া’ আগে কখনও দেখা যায়নি। আমরা কাউকে বিক্ষোভ করতে বলিনি। বেদনা ও ক্ষোভ থেকে তারা নিজেরাই বিক্ষোভ করেছেন।
এ সময় বর্তমান শাসকদের চ্যালেঞ্জ দিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ দিতে পারি যে বর্তমান শাসকরা প্রকাশ্যে কোথাও মুখ দেখানোর সক্ষমতা রাখেন না।
পিটিআই চেয়ারম্যান আরও বলেন, যখন ওই ঘটনা ঘটে তখন সারাবিশ্বের সব পিটিআই কর্মী ‘শবে দুয়া’ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। মসজিদে নববীতে দুর্বৃত্তদের উসকে দেওয়ার কথা আমি কখনোই চিন্তা করতে পারি না।
মহানবীর (স.) জন্য আমার হৃদয়ে যে স্থানটি রাখা আছে, তা আমার প্রমাণ করার প্রয়োজন নেই। ইসলামভীতি নিয়ে সারাবিশ্বে যে প্রচারণা আছে তার বিরুদ্ধে আমি সোচ্চার থেকেছি। আমি বিশ্বাস করি মহানবীকে (স.) ভালো না বাসলে কারো ঈমান পূর্ণতা পায় না।
গত বৃহস্পতিবার তিন দিনের সফরে প্রতিনিধিদলসহ সৌদি আরব পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ। সফরের প্রথম দিনেই হযরত মুহাম্মদ (স.) এর রওজা মুবারক জিয়ারত করতে মসজিদে নববীতে যান তিনি। এ সময় পাকিস্তানি কিছু বিক্ষোভকারী প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ ও তার প্রতিনিধিরা মসজিদে প্রবেশ করতেই তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক স্লোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে তারা কারো কারো চুল ধরে টানতে থাকেন। এ সময় ওই দলটি তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব ও শাহজেইন বুগতিকে লক্ষ্য করেও স্লোগান দেয়।
তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম বলেন, যিনি এই ঘটনার কলকাঠি নেড়েছেন আমি তার নাম বলতে চাই না। আমি এই পবিত্র ভূমিকে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ব্যবহার করতে চাই না।
মসজিদে নববীতে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় গ্রুপগুলো তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
সূত্র: জিও নিউজ।
এনটি