আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: রংপুরে তাণ্ডব চালিয়েছে কালবৈশাখী। এতে আম, ভুট্টা, গম, ধানসহ উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের স্থায়িত্ব কম হলেও কোথাও কোথাও ঘরবাড়ির ক্ষতির হয়েছে। ঝড়ে উড়ে গেছে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) রাত ৯টার পর থেকে থেমে থেমে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি আঘাত হানে জেলার বিভিন্ন উপজেলায়।
রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানায়, বৃষ্টির পরিমাণ কম হলেও বাতাসের বেগ বেশি ছিল। কোথাও কোথাও ভারি বজ্রপাতও হয়েছে। উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের শ্যামদাসের পাড়া, ষোলঘড়িয়া ও আলমপুরে গাছপালা উপড়ে গেছে। মাটির বাড়িঘর ভেঙে যায়। কারো কারো ঘরের চাল উড়ে গেছে। ধসে পড়েছে বাড়ির দেয়ালও।
স্থানীয় আজমল হোসেন জানান, ঝড়ের স্থায়িত্ব ছিল ২০-২৫ মিনিট। কিন্তু এ অল্প সময়ের মধ্যে ঝড়ে বড় আলমপুর ইউনিয়নের ঘরবাড়ি, গাছগাছালি ও উঠতি ফসলের ক্ষতি হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বড় আলমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সেলিম বলেন, প্রায় অর্ধশত বাড়িঘর ভেঙে গেছে। এ দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তবে তালিকা করে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করা হবে।
এদিকে পীরগঞ্জ ছাড়া কাউনিয়া, বদরগঞ্জ, গঙ্গাচড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে তাণ্ডব চালিয়েছে কালবৈশাখী। ঝড়ে কাউনিয়ার বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গাছ ভেঙে পড়েছে। তছনছ হয়েছে অনেকের ঘরবাড়ি। ঝড়ে রেললাইনের ওপর গাছ ভেঙে পড়ায় সকালে মীরবাগে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম কামরুল হাসান জানান, রাত ৯টা ৫ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানসহ প্রত্যন্ত এলাকাতে ঘুর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। ঝড়ের স্থায়িত্ব ছিল ৫০ মিনিট। এসময় ৭ দশমিক শূন্য মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাতের পাশাপাশি বাতাসের বেগ বেশি ছিল।
-এএ