বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে দেশ: ফখরুল চক্রান্তের ফাঁদে না পড়ে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণের আহ্বান শায়খ আহমাদুল্লাহর ভোলায় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও স্মরণসভা চরমোনাইর বার্ষিক অগ্রহায়ণ মাহফিল বুধবার, চলছে সর্বশেষ প্রস্তুতি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান আসিফ মাহমুদের অসহায় শীতার্তের পাশে মাওলানা গাজী ইয়াকুবের তাকওয়া ফাউন্ডেশন দেশের তিন জেলায় শিক্ষক নিচ্ছে ‘আলোকিত মক্তব’ বৃদ্ধার দাড়ি টেনে ছিঁড়ে ফেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবন্ধীদের ধর্মীয় ও কারিগরি শিক্ষা দিতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে: ধর্ম উপদেষ্টা ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র করার ষড়যন্ত্র সফল হবে না: মাওলানা আরশাদ মাদানী

কসোভোর মুসলমানরা যেভাবে রমজান কাটাচ্ছেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বলকান উপদ্বীপের ছোট্ট দেশ কসোভো। ইউরোপের বুকে ইসলামের স্মারক নিয়ে টিকে আছে। হিজরি প্রথম শতাব্দীতেই কসোভোর মাটিতে ইসলামের দ্যুতি পৌঁছে যায়। আর ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় ৭৯৭ হিজরিতে।

এরপর বহু ত্যাগ ও সংগ্রামের বিনিময়ে হলেও কসোভোর মানুষ তাদের ঈমান ও ইসলাম টিকিয়ে রেখেছে। গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে সার্ব বাহিনীর হাতে জাতিগত নিধনের শিকার হয় কসোভোর মুসলিমরা এবং গৃহহারা হয় অসংখ্য মানুষ। অবশেষে ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ সালে সার্বিয়া থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। কসোভোর জনগণের প্রায় ৯৫ শতাংশই মুসলিম।

প্রায় প্রতিটি জেলায় রয়েছে একটি ইসলামিক সেন্টার ও পাঁচটি ধর্মীয় স্কুল। যেখানে শিক্ষার্থীদের ইসলাম ও আরবি ভাষা-সাহিত্য শেখানো হয়।

কসোভোর দুই শতাধিক মসজিদ ধ্বংস করে সার্ব বাহিনী। কসোভোর ধর্মবিদ্বেষী কমিউনিস্ট শাসকরা ৭০ বছর ইসলামী শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সর্বপ্রকার ধর্মীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে রাখে। তারা অসংখ্য মসজিদ, মাদরাসা ও ধর্মকেন্দ্র বন্ধ করে দেয়। কসোভোর মুসলিমরা চেষ্টা করছে ইসলামের হারানো ঐতিহ্য ও আবহ ফিরিয়ে আনতে। তারা নতুন করে মাদরাসা, মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে।

রমজানের চাঁদের ব্যাপারে কসোভোর মুসলিমরা জ্যোতির্বিজ্ঞানের অনুসরণ করে। সঙ্গে সঙ্গে তুরস্ক ও ইউরোপীয় ফতোয়া ও গবেষণা বোর্ডের পরামর্শ গ্রহণ করে। রমজানের আগমনে কসোভোর মুসলিমরা আনন্দে মেতে ওঠে এবং রঙিন ফানুস নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে। ছোট-বড় সবাই পরস্পরকে অভিনন্দন জানায়।

রমজানের কয়েক দিন আগে থেকে তারা মসজিদগুলোকে মুসল্লিদের জন্য প্রস্তুত করে। স্বাধীনতার পর থেকে কসোভোর মুসলিমরা রমজান মাসে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে সম্মিলিত দোয়ার আয়োজন করে। প্রতিটি মসজিদে বিতর ও ফজরের নামাজে ‘কুনুতে নাজেলা’ পড়া হয়।

রমজানে কসোভোর মুসলিমরা কোরআন তিলাওয়াত, তাহাজ্জুদ, অধিক পরিমাণে সালাতুত তাসবিহ ও ধর্মীয় জ্ঞান আহরণ করে কাটাতে পছন্দ করে। জোহরের পর মসজিদে মসজিদে ইসলামী বিশ্বাস ও বিধি-বিধানের দরস হয়। আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত হয় কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়ার অনুষ্ঠান। সাধারণ মুসলিমরা এতে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করে।

কসোভোর মুসলিমরা রমজান মাসটি পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পছন্দ করে। ইফতার ও সাহরি অবশ্যই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে করে। এশার নামাজের পর পরিবারে সব সদস্য একত্র হয়ে খোশগল্পে মত্ত হয়। এই সময় পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য তাদের পরিবারের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংগ্রামের কথা নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরেন।

পারিবারিক ওই বৈঠকে হরেক রকম ফলের জুস পরিবেশন করা হয়। সবচেয়ে বেশি পরিবেশন করা হয় আপেলের জুস। কখনো কখনো এ আড্ডা সাহরি পর্যন্তও দীর্ঘায়িত হয়। ইফতারের সময় হলে তারা ফলের জুস বা পানীয় ও খেজুর দ্বারা ইফতার করে। তারপর মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করে ঘরে ফিরে আবার ইফতারে শরিক হয়। ইফতারে কসোভোবাসীর সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার হলো ‘বুরিক’। গরুর মাংসের কিমা দিয়ে তৈরি বিশেষ খাবার। সূত্র: ইসলাম ওয়েব

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ