আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করার কথা ছিল। মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে ১৫ বছরের সাজা হতে হওয়ার সম্ভাবনা ছিল সু চির।
মিয়ানমারের আদালত রায়টি স্থগিত করেছে। দেশটির সামরিক সরকারের একজন মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতি মামলা করা ছিল। মামলার রায় সোমবার (২৫ এপ্রিল) ঘোষণার দিন ধার্য ছিল।
সু চির বিরুদ্ধে করা মামলাটিতে বলা হয়েছে, ইয়াঙ্গুনের সাবেক চিফ মিনিস্টার ফিও মিন থেইনের কাছ থেকে ৬ লাখ ডলার ও ১১ দশমিক ৪ কেজি স্বর্ণ ঘুষ গ্রহন করেন সু চি।
মিয়ানমারের সামরিক সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন এএফপিকে বলেছেন আজ কোনো রায় হচ্ছে না। কবে নাগাদ রায় হতে পারে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি জাও মিন তুন। খবর এএফপি।
নাইপিদোর বিশেষ আদালতে মামলার শুনানিতে সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকতে দেওয়া হয়নি। এমনকি গণমাধ্যমের সঙ্গে মামলার বিষয়ে সু চির আইনজীবীকে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে এক সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন সু চি। এর পর থেকে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি থেকে শুরু করে নির্বাচনী, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনসহ বেশ কিছু অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব দায়ের করা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সুচির সর্বোচ্চ সাজার পরিমাণ ১৫০ বছর পর্যন্ত হতে পারে।
-এটি