আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের খারকিভসহ পূর্বাঞ্চলে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা। ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের পরিস্থিতি ভয়াবহ উল্লেখ করে পশ্চিমাদের কাছে আরও সামরিক সহায়তা চেয়েছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। লুহানস্কের ৮০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার দখলে চলে গেছে বলেও দাবি করেছেন অঞ্চলটির গভর্নর।
বুধবার (২০ এপ্রিল) খারকিভ অঞ্চলে মুহুর্মুহু রকেট নিক্ষেপ করে ইউক্রেনীয় সেনারা। পূর্বাঞ্চলীয় এ শহরটির অধিকাংশ এলাকা এখন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। তবে শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়ে সামরিক গ্রেডের রকেট হামলা চালায় ইউক্রেনের সেনারা।
খারকিভের পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলেও অভিযান জোরদার করেছে রুশ সেনারা। মাইকোলাইভ শহরের কাছাকাছি চলে এসেছে রুশ সেনারা। রাশিয়ার অব্যাহত গোলা হামলার মুখে এরইমধ্যে শহর ছাড়তে শুরু করেছে স্থানীয়রা।
রুশ অভিযান জোরদারের বিষয়টি স্বীকার করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। পশ্চিমাদের দেওয়া নতুন লটের সামরিক সহায়তা কিয়েভের হাতে পৌঁছেছে উল্লেখ করে রাশিয়াকে প্রতিহত করতে আরও সাহায্যের আহ্বান জানান তিনি।
জেলনস্কি বলেন, ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। দখলদাররা ব্যাপক আকারে অভিযান শুরু করেছে। তবে আমাদের সেনারাও আমাদের মাতৃভূমিকে রক্ষায় বদ্ধপরিকর। আমাদের সেনাদের অস্ত্র সরবরাহে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আবারও সামরিক অভিযানের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তার দাবি, দোনবাসের সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতেই ব্যাপক আকারে অভিযান শুরু করেছে রুশ সেনারা। পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞাকে অবৈধ উল্লেখ করে ওয়ার্ল্ড ট্রেড অরগানাইজেশনের (ডব্লিউটিও) নীতি অনুযায়ী, রাশিয়া নতুন কৌশল গ্রহণ করছে বলেও জানান পুতিন।
-এএ