আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: রাজধানীর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষে পুলিশের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ব্যবসায়ীদের না সরিয়ে উল্টো ছাত্রদের লক্ষ্য করে দফায় দফায় টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড, শটগানের গুলি ছুড়েছে পুলিশ।
সোমবার রাতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, পুলিশ শুধু ছাত্রদের ওপরই চড়াও হয়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট ছুড়েছে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
‘পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার’ কারণে সমালোচনার মুখে থাকা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, কৌশলগত কারণে এই ভূমিকায় ছিলেন তারা।
ডিএমপির রমনা জোনের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুলিশ আশপাশেই ছিল। তবে স্ট্র্যাটেজিক কারণে পুলিশ সামনে আসেনি।’ তবে এই স্ট্র্যাটেজিক বা কৌশলগত কারণ কী- সেটি তিনি স্পষ্ট করেননি।
ডিসি বলেন, আমরা গতকাল রাতে দুপক্ষকে শান্ত করেই তারপর গিয়েছি। আজ সকালে শিক্ষার্থীরা আবার অবস্থান নেন। তবে তাদের অবস্থান শান্তিপূর্ণ ছিল। পরে হকার্স মার্কেট এবং ফুটপাতের দোকানিরা আসলে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। এটি শান্ত করার জন্য আমাদের পুলিশ যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
এক দোকানে খাবারের বিল পরিশোধ নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে সোমবার (১৮ এপ্রিল) মধ্যরাতে দোকান কর্মচারীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্রায় আড়াই ঘণ্টা সংঘর্ষ চলে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে রাত আড়াইটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত আবারো চলে এ সংঘর্ষ। দুপুরের পর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া শুরু করলে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘটনার দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার সংঘর্ষ শুরুর প্রায় চার ঘণ্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তারা নিউমার্কেটের সামনে আসে নীলক্ষেত মোড় দিয়ে। প্রথমে পুলিশ নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের রাস্তা থেকে সরে যেতে বলে। তখন পুলিশের কথায় ব্যবসায়ীরা সাড়া না দিয়ে বাহিনীটির সামনেই ছাত্রদের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরে পুলিশ ব্যবসায়ীদের সরিয়ে দিয়ে ঢাকা কলেজের দিকে এগোতে থাকে। এ সময় পুলিশ ছাত্রদের দিকে কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে থাকে।
এনটি