আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননা করায় একটি কারখানার শ্রমিকদের রোষানলে পড়ে মারা যান প্রিয়ান্থা কুমারা নানে শ্রীলঙ্কার নাগরিক। তাকে হত্যার অভিযোগ এনে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন পাকিস্তানের একটি আদালত। পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত (এটিসি) সোমবার (১৮ এপ্রিল) প্রিয়ান্থা কুমারাকে হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলার এ রায় দেন।
একই ঘটনার মামলায় আরও ৯ জনকে যাবজ্জীবন, ১ জনকে ৫ বছর ও ৭২ জনকে ২ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গত বছর ডিসেম্বরে মারা যাওয়া ৪৮ বছর বয়সী প্রিয়ান্থা কুমারা পাকিস্তানের পাঞ্জাব রাজ্যের শিয়ালকোটের একটি কারখানার ম্যানেজার ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো আলী হুসেইন, আবু তালহা, মুহাম্মদ হামির, তাইমুর, আবদুল রেহমান ও মোহাম্মদ আরশাদ। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ৯ জন হলো রোহাইল আমজাদ, মোহাম্মদ শোয়াইব, এহতিশাম, ইমরান রিয়াজ, সাজিদ আমিন, জাইঘাম মেহদি, আলী হামজা, লোকমান হায়দার ও আবদুল সবুর। আলী আসগর নামের এক আসামিকে পাঁচ বছরের জেল দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় খালাস পেয়েছেন এক ব্যক্তি।
সরকারি কৌঁসুলি আবদুল রউফের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল এ মামলার তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেন। তিনি বলেন, মামলাটির বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে তাদের। মামলার রায়ে তিনি সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেছেন।
ঘটনাটি সম্পর্কে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছিল, গত বছর ৩ ডিসেম্বর ধর্ম অবমাননা করায় একদল লোক কারখানায় ঢুকে তাকে বের করে এনে হত্যাকাণ্ড ঘটায়। এর আগে প্রিয়ান্থা কুরআনের বাণী লেখা একটি পোস্টার ছিঁড়ে তা ডাস্টবিনে ফেলেছেন। এমন অভিযোগের পর লোকজন উত্তেজিত হয়ে এ হামলা চালান। প্রিয়ান্থাকে পিটিয়ে এবং পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। কয়েক ডজন মানুষকে তার মরদেহের ছবি তুলতেও দেখা যায় সে সময়। পরে এ ঘটনার মামলায় ৮৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
সূত্র: জিও নিউজ।
এনটি