আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পাকিস্তানের সদ্য নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে দুর্নীতির মামলা হয়। সে বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতেও পাঠানো হয়। ইমরান খানের দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে শেহবাজ গ্রেফতার হয়েছিলেন।
এদিকে শুধু প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ নয়, তার ছেলে হামজা শাহবাজের বিরুদ্ধেও অর্থপাচারের মতো বড় দুর্নীতির মামলা আছে।
ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকারের নির্দেশে ২০২০ সালে প্রায় ২৫ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি বিদেশে পাচারের অভিযোগ করা হয় তাদের বিরুদ্ধে।
এই মামলা পরিচালনা করার জন্য একটি বিশেষ আদালত গঠন করা হয়।
আজ সোমবার এই মামলায় শাহবাজের হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি দেশটির জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেবেন এ কারণ দেখিয়ে হাজিরা না দিতে আবেদন করেন। তার এ আবেদন গৃহীত হয়।
তবে বাবা শাহবাজ শরীফ যেদিন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন সেদিন তার ছেলে হামজা শরীফকে বিশেষ আদালতে হাজিরা দিতে হয়।
পাকিস্তানের বেশি কয়েকটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, হামজা শরীফ সোমবার অর্থপাচার দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিয়েছেন। এদিকে শেহবাজ শরীফের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিষয়টি সোমবার উল্লেখ করেন ইমরান খান।
এদিন জাতীয় পরিষদে গিয়ে তিনি বলেন, যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১৬ ও ৮ বিলিয়ন রুপির দুর্নীতির মামলা আছে তাকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন না তারা। এর বদলে সবাই পদত্যাগ করবেন।
সূত্র: ডন।
এনটি