রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের সওগাত নিয়ে পবিত্র মাহে রমজান মুমিনের দ্বারপ্রান্তে। মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মুমিনের জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার এ মাস। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনায় একজন মুমিন তাকওয়ার গুনে গুনাণ্বিত হতে পারে। হতে পারে রাসুল সা. এর শ্রেষ্ঠ একজন উম্মত। লাভ করতে পারে ইহকালীন ও পরকালীন প্রভূত কল্যাণ। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বাতলানো পন্থা ও সাহাবায়ে কেরামের নমুনায় রমজান পালনেই তা সম্ভব।
আওয়ার ইসলাম পাঠকের জন্য মাহে রমজান জুড়ে “মাসায়েলে রমজান” শিরোনামে প্রতিদিন গুরুত্বপূর্ণ কিছু মাসায়েল পাঠকের সমীপে উপস্থাপন করা হবে। নিয়মিত মাসায়েল লিখবেন, শেখ জনূরুদ্দীন র. দারুল কুরআন মাদরাসা চৌধুরীপাড়ার ইফতা বিভাগের মুশরিফ, মুফতি সাদেকুর রহমান।।
নিম্মে বর্নিত ব্যক্তিরা রোজার প্রতি সম্মান প্রদর্শনার্থে রোজাদারের ন্যায় পানাহার, স্ত্রী মিলন থেকে বিরত থাকা ওয়াজিব।
১.মধ্যাহ্নের পূর্বে কোনো যুবক বা যুবতী প্রাপ্ত বয়স্ক হলে। ২.মধ্যাহ্নের পূর্বে কোনো অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করলে।
৩.সুবহে সাদিক হওয়ার পর অথবা সুবহে সাদিক হওয়ার সাথে সাথে কোনো মহিলা মাসিক পিরিয়ড অথবা বাচ্চা প্রসব পরবর্তী পিরিয়ড থেকে পবিত্র হলে। ৪,কোনো উন্মাদ উন্মাদনা থেকে সুস্থতা লাভ করলে।
৫.মুসাফির মধ্যাহ্নের পরে মুকিম হলে, অথবা মধ্যাহ্নের আগে মুকিম হলে তবে সুবহে সাদিক হওয়ার পর সে পানাহার করে নিয়েছে। মধ্যাহ্নের আগে পানাহার ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা অবস্থায় মুকিম হলে তার উপর রোজা রাখা ওয়াজিব, যদিও সে রোজা না রাখার নিয়ত করে থাকে।
৬.মুকিম সুবহে সাদিক হয়নি মনে করে সাহরি খেলে,অথচ তখন সুবহে সাদিক হয়ে গিয়েছিল।৭.সুর্যাস্ত হয়ে গেছে মনে করে ইফতার করে ফেললে, অথচ তখনো সুর্যাস্ত হয়নি।
৮.ভুলে রোজা ভেঙ্গে গেলে, যেমন কুলি করার সময় গলার ভেতর পানি চলে গেল।৯,ইচ্ছাকৃত পানাহার করলে।১১. জোরপূর্বক রোজা ভাঙ্গলে
ইয়াউমে শক অর্থাৎ শাবানের ২৯তম তারিখের পরবর্তী দিবসে-যে দিবসটি শাবানের ৩০তম। দিবস এবং রমজানের ১ম দিবস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে - রোজা রেখে ভেঙ্গে ফেললে, পরে জানা গেল,সে দিবস টি পহেলা রমজান ছিল।
যে সব অবস্থায় রোজাদারের ন্যায় পানাহার ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা জরুরি নয়। ১.রোজা রাখা অবস্থায় মাসিক পিরিয়ড শুরু হলে।
২.বাচ্চা প্রসব পরবর্তী পিরিয়ড শুরু হলে। ৩.এমন অসুস্থ হলে, যার জন্য শরিয়তে রোজা না রাখার অনুমতি আছে। ৪. মুসাফির হলে।
উল্লেখ্য, উক্ত মা"জুর ব্যাক্তিরা লোকজনের সামনে না খেয়ে নির্জনে খাওয়া -দাওয়া করবে। ফাতাওয়া খানিয়া ১/২১৭-২১৮। ফাতাওয়া শামি ৩/৩৮৪-৩৮৫।
-এটি