মুযযাম্মিল হক উমায়ের।।
হজরত মাওলানা আবরারুল হক রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা বলেন, অনেক সময় নেকির কাজ একমনে হয় না। মনোযোগের সাথে হয় না। এটিকে অনেকে মনে করে ইখলাস পরিপন্থি।
কিন্তু বিষয়টি এমন নয়। এমন হওয়া ইখলাস পরিপন্থি নয়। হযরত আব্দুর রহমান কামেলপুরী রাহিমাহুল্লাহু তাআলা। যিনি অনেক বড় আলেম ছিলেন। মজবুত ইলমের অধিকারী ছিলেন।
মুহাদ্দিসে আযীম আল্লামা আনওয়ার শাহ রাহিমাহুল্লাহু তাআলাও তাঁর ইলমের প্রশংসা করতেন। তাঁর উঁচু ইলমের স্বীকৃতি দিতেন। তিনি একবার আল্লামা থানবী রাহিমাহুল্লাহু তাআলার কাছে চিঠি পাঠালেন।
বললেন, হযরত! আমার উপর যাকাত ফরজ। যখন যাকাত আদায় করি, তখন নিজের কাছে কষ্ট লাগে। নিজের কামানো টাকা দেয়াটা আমার কাছে অনেক ভারি মনে হয়। তখন ভাবি এই কারণে মনে হয় আমার ইখলাস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর যদি এই কারণে যাকাত না দিই, তাহলে তো যাকাত না দেয়ার গুনাহ হবে। এই অবস্থায় আমার করণীয় কী?
আল্লামা থানবী রাহিমাহুল্লাহু তাআলা তাঁকে দু্ই কথায় উত্তর দিয়ে দিলেন। বললেন, আপনি যাকাত দিতে থাকুন। এতে আপনার মনে যতো প্রকারের কষ্ট আসতে চাই আসুক।
আপনার কাছে যতো ভারি মনে হওয়ার মনে হোক। যাকাত আদায় চাই প্রফুল্ল মনে না হোক। জেনে রাখবেন ‘ইখলাসের জন্যে মনের প্রফুল্লতার সাথে আদায় করতে হবে এমন শর্ত করা হয়নি।
অন্য স্থানে বলেছেন, যাকাত দেয়ার সময় যে মনের প্রফুল্লতা নেই, এই কারণে আরো ডবল সওয়াব দেয়া হবে। (একটি হলো, ফরজ হুকুম পালন করার সওয়াব, আরেকটি হলো, মনের বিরুদ্ধে মুজাহাদা করার সওয়াব—অনুবাদক) এই জন্যে মনে একগ্রতা আর প্রফুল্লতা না থাকার কারণে পেরেশান হতে নেই। মনের মাঝে এমন আসাটা ইখলাস পরিপন্থি নয়। সূত্র: ইফাদাতে আবরার
-এটি