আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কেন্দ্রের শিক্ষানীতি অনুযায়ী বদলানো হবে মাদরাসার পাঠক্রম। এরপর থেকে উগ্রপন্থা নয়, জাতীয়তাবাদ তথা দেশপ্রেমের শিক্ষা দেবে মাদরাসাগুলি। এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশের সংখ্যালঘু মন্ত্রী ধরমপাল সিং।
বিরোধীরা বলছেন, স্বয়ং সংখ্যালঘু মন্ত্রী যেভাবে মাদরাসা শিক্ষাকে আক্রমণ করলেন তা দুর্ভাগ্যজনক। মাদরাসাকে উগ্রপন্থার আঁতুড় ঘর হিসেবে দেগে দিলেন মন্ত্রী।
গতকাল শনিবার বরেলির ভেটারনারি রিসার্চ ইউনিটে সাংবাদিক সম্মেলনে ধরমপাল সিং জানান, কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতি অনুযায়ী মাদরাসার পাঠক্রমে বদল আনা হচ্ছে। তিনি বলেন, “নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুযায়ী তৈরি করা হবে মাদরাসার পাঠক্রম। জাতীয়তাবাদের পাঠ দেওয়া হবে ছাত্রদের।
সেখানে উগ্রপন্থার প্রসঙ্গ উত্থাপন করা হবে না।” রাজ্যের সংখ্যালঘু মন্ত্রী জানান, এছাড়াও মাদরাসাগুলিতে ছাত্রদের কর্মমুখী শিক্ষা দেওয়ার কথাও ভাবা হয়েছে। এইসঙ্গে মন্ত্রী জানান, যোগী সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বেআইন ওয়াকফ সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করা হবে, ওই জমি ও সম্পত্তি সংখ্যালঘু উন্নয়নে কাজে লাগানো হবে।
উল্লেখ্য, মাদরাসা নিয়ে ক’দিন আগেই চরম বিতর্কিত মন্তব্য করেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্বাইয়ের রাজনৈতিক সচিব তথা বিধায়ক রেনুকাচার্য।
তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে অনুরোধ করেন যে অবিলম্বে মাদরাসাগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক। রেনুকাচার্যের মন্তব্য ছিল, “কংগ্রেসের কাছে আমার প্রশ্ন, স্কুল থাকতে মাদরাসার কী প্রয়োজন? ওরা কী প্রচার করে মাদরাসায়? ওরা নিষ্পাপ শিশুদের উসকানি দেয়। এরাই ভবিষ্যতে দেশবিরোধী কাজ করে। এরা কোনওদিন ভারত মাতা কী জয় বলবে না।”
উল্লেখ্য, কর্ণাটকের এই বিধয়ক রেণুকাচার্য আগেও বিতর্কে জড়িয়েছেন। এর আগে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, নিজের দুই সন্তানের জন্য জাল জাতিগত প্রশংসাপত্র পেশ করার।
তাদের অসৎ উপায়ে সরকারি সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার। মাদরাসা নিয়ে মন্তব্যে বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা নথিভুক্ত করার দাবি জানিয়েছিল বিরোধীরা। তিনি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সূত্র: টাইমস নাউ।
-এটি