বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে দেশ: ফখরুল চক্রান্তের ফাঁদে না পড়ে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণের আহ্বান শায়খ আহমাদুল্লাহর ভোলায় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও স্মরণসভা চরমোনাইর বার্ষিক অগ্রহায়ণ মাহফিল বুধবার, চলছে সর্বশেষ প্রস্তুতি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান আসিফ মাহমুদের অসহায় শীতার্তের পাশে মাওলানা গাজী ইয়াকুবের তাকওয়া ফাউন্ডেশন দেশের তিন জেলায় শিক্ষক নিচ্ছে ‘আলোকিত মক্তব’ বৃদ্ধার দাড়ি টেনে ছিঁড়ে ফেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবন্ধীদের ধর্মীয় ও কারিগরি শিক্ষা দিতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে: ধর্ম উপদেষ্টা ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র করার ষড়যন্ত্র সফল হবে না: মাওলানা আরশাদ মাদানী

মমতাকে মা*ফিয়া আখ্যা দিল বিজেপি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বীরভূমের রামপুরহাটে যে গণহত্যার ঘটনা ঘটে, তা নিয়ে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট দাখিল করল বিজেপি। রিপোর্ট দাখিলের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে বাংলা মাফিয়াদের কবলে রয়েছে এবং রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বিপর্যস্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বিজেপির পাঁচ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি।

বঙ্গ বিজেপির পক্ষ থেকে পেশ করা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের মদতপুষ্ট মাফিয়ারা পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের যোগসাজশে পশ্চিমবঙ্গ শাসন করছে। বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের দাখিল করা রিপোর্টে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে এবং বাংলার মানুষ তৃণমূলের শাসনের প্রতি বিশ্বাস হারিয়েছে। এমনকি এই রিপোর্টে নাম করা হয়েছে বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। তার মদত রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।

বিজেপির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন এবং তাদের সঙ্গে অসহযোগিতা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ডিজিপি এবং অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও আমরা ব্যর্থ হয়েছি। বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যদের ওপর যখন আক্রমণ করা হয়েছিল, তখন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কাউকে দেখা যায়নি। বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির তরফে এমনই দাবি করা হয়েছে। তা রিপোর্টেও উল্লেখ করা হয়েছে ফলাও করে।

বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে হত্যালীলার পর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা চার সাবেক আইপিএস অফিসার এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে একটি পাঁচ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছিলেন। সেই কমিটিই জেপি নাড্ডার কাছে বীরভূমের ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট পেশ করে।

বিজেপির এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন উত্তর প্রদেশের সাবেক ডিজিপি রাজসভা সাংসদ শ্রী ব্রজলাল, মুম্বাই পুলিশের সাবেক পুলিশ কমিশনার লোকসভার সাংসদ সত্যপাল সিং, সাবেক আইপিএস অফিসার রাজ্যসভার সাংসদ কে সি রামামূর্তি, বঙ্গ বিজেপির সভাপতি লোকসভা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এবং বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র ও পশ্চিমবঙ্গের সাবেক আইপিএস অফিসার ভারতী ঘোষ।

কমিটির সদস্য সুকান্ত মজুমদার বলেন, বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি বীরভূমের যে গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে গিয়েছিল। ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যদের কারণে গ্রামে পৌঁছাতে আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। পুলিশের অসহযোগিতা ছাড়াও আমরা গ্রামে গিয়ে জানতে পেরেছি এ ঘটনার পেছনে রয়েছে রাজ্য সরকারের পূর্ণ মদত।

বীরভূমের রামপুরহাট এলাকায় ২১ মার্চ তৃণমূল নেতা ভাদু শেখকে হত্যার পর উত্তেজিত এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় আটজন নিহত হন। পরে হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের আদেশের পর গণহত্যার তদন্তভার উঠেছে সিবিআইয়ের হাতে। তার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হত্যাকাণ্ডের তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল এসআইটি গঠন করেছিলেন। কিন্তু আদালত তা খারিজ করে সিবিআইকে দায়িত্ব দেন।

প্রতিবেদন প্রকাশের পর সংবাদ সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন। আমি বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের এই মনোভাবের নিন্দা জানাই। যখন তদন্ত চলছে, তখন কোনো পক্ষের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। এটা ক্ষমতার চরম অপব্যবহার।’

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ