বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে দেশ: ফখরুল চক্রান্তের ফাঁদে না পড়ে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণের আহ্বান শায়খ আহমাদুল্লাহর ভোলায় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও স্মরণসভা চরমোনাইর বার্ষিক অগ্রহায়ণ মাহফিল বুধবার, চলছে সর্বশেষ প্রস্তুতি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান আসিফ মাহমুদের অসহায় শীতার্তের পাশে মাওলানা গাজী ইয়াকুবের তাকওয়া ফাউন্ডেশন দেশের তিন জেলায় শিক্ষক নিচ্ছে ‘আলোকিত মক্তব’ বৃদ্ধার দাড়ি টেনে ছিঁড়ে ফেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবন্ধীদের ধর্মীয় ও কারিগরি শিক্ষা দিতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে: ধর্ম উপদেষ্টা ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র করার ষড়যন্ত্র সফল হবে না: মাওলানা আরশাদ মাদানী

বিশ্বে ৪ কোটি মানুষকে চরম দারিদ্র্যে ঠেলে দেবে খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির পাশাপাশি খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে অব্যাহতভাবে। এতে চার কোটির বেশি মানুষ চরম দারিদ্র্যসীমায় নামবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে উন্নয়ন সংস্থা দ্য সেন্টার ফর গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট (সিজিডিইভি)।

গত শুক্রবার সংস্থাটি রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ও রাশিয়ার খাদ্য উৎপাদনে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করে।

এক বিশ্লেষণ ব্লগে ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক জানায়, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকে খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি আগের অভিজ্ঞতাকে ছাড়িয়ে গেছে।

২০০৭ ও ২০১০ সালে খাদ্যের যে মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছিল বর্তমানে তার চেয়ে অনেক বেশি হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের উদ্ধৃতি দিয়ে সংস্থা জানায়, ২০০৭ সালে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার ফলে ১৫৫ মিলিয়ন মানুষ চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমছিল। আরেকটি গবেষণায় দেখা যায়, ২০১০ সালের ঘটনায় ৪৪ মিলিয়ন মানুষ চরম দারিদ্র্যে পড়েছিল।

সিজিডিইভির গবেষণায় বলা হয়, ‘২০১০ সালে যে হারে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছিল, বর্তমানেও একই মাত্রায় বাড়ছে। তাই আমাদের বিশ্লেষণ বলছে, ২০২২ সালের এ মূল্যবৃদ্ধি ৪০ মিলিয়ন বা চার কোটি মানুষকে চরম দারিদ্র্যসীমায় ঠেলে দেবে। ’ বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞা অনুযায়ী চরম দারিদ্র্যসীমা হচ্ছে দিনে ১.৯০ ডলারের কম আয় করা।

গবেষকরা আরো বলেন, ‘এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হচ্ছে যেসব দেশ রাশিয়া ও ইউক্রেনের গমের ক্রেতা তাদের জন্য। এ দুই দেশ মিলে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ গম রপ্তানি করে।

এ দুই দেশের ক্রেতার মধ্যে রয়েছে মিসর, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আজারবাইজান, তুরস্ক এবং আরো অনেক দেশ। এ অবস্থায় আমদারিকারকরা যখন বিকল্প বাজার থেকে গম কিনতে প্রতিযোগিতা করবে, তখন পণ্যের দাম আরো বেড়ে যাবে।

সূত্র: রয়টার্স।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ