আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ভারতের মধ্যপ্রদেশের একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব পরে তদন্তের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন এক মুসলিম ছাত্রী। একটি হিন্দু সংগঠনের দাবির মুখে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন ওই মুসলিম ছাত্রী। শনিবার এমন তথ্য জানিয়েছেন এক ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তা।
ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাগর শহরের ড. হরিসিং গৌর বিশ্ববিদ্যালয়ের হিজাব পরিহিত এক মুসলিম ছাত্রীর নামাজ আদায় করার ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। এ মুসলিম ছাত্রী তখন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি (খালি) কক্ষে নামাজ আদায় করছিলেন। এ কারণে তার বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি তুলেছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ নামের একটি উগ্রবাদী হিন্দু সংগঠন।
(ওই মুসলিম ছাত্রীর হিজাব পরে নামাজ আদায় করার) এ বিষয়ে একটি স্মারকলিপি দিয়ে ড. হরিসিং গৌর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিকার চেয়েছে ওই উগ্রবাদী হিন্দু সংগঠন। ঘটনা তদন্তের জন্য হিন্দু জাগরণ মঞ্চ নামের এ উগ্রবাদী হিন্দু সংগঠনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে একটি ভিডিও সরবরাহ করেছে। এ ভিডিওতে দেখা গেছে এক মুসলিম ছাত্রী হিজাব পরে নামাজ আদায় করছেন।
ড. হরিসিং গৌর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বলেছে, তারা ওই মুসলিম ছাত্রীর বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছেন। ওই অভিযোগপত্রের সাথে একটি ভিডিও দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনা এমন সময়ে ঘটল যখন এক দিন আগে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট হিজাব ইস্যুতে শুনানি করতে অস্বীকার করেছে। মূলত, কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হিজাব পরার বিষয়ে নতুন আদেশ চাওয়া হয়েছিল ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের কাছে।
এ বিষয়ে ড. হরিসিং গৌর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র বলেন, মুসলিম ছাত্রীর হিজাব পরে নামাজ আদায় করার ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি তিন দিনের মধ্যে তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। এরপর ওই তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে অ্যাকশন নেয়া হবে।
হিন্দু জাগরণ মঞ্চের ড. হরিসিং গৌর বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট সভাপতি বিভিন্ন গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব ধর্মে মানুষের জন্য। এখানে হিজাব পরে নামাজ আদায় করার বিষয়ে আপত্তি জানানো হয়েছে। কারণ, হিজাব ইস্যুতে কর্ণাটক হাইকোর্ট বলেছে, ক্লাসরুমে হিজাব পরা যাবে না। হিজাব পরা ইসলাম ধর্মের কোনো গুরুত্বপূর্ণ বা আবশ্যক বিষয় নয়।
সূত্র: দ্যা নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।
এনটি