বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে দেশ: ফখরুল চক্রান্তের ফাঁদে না পড়ে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণের আহ্বান শায়খ আহমাদুল্লাহর ভোলায় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও স্মরণসভা চরমোনাইর বার্ষিক অগ্রহায়ণ মাহফিল বুধবার, চলছে সর্বশেষ প্রস্তুতি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান আসিফ মাহমুদের অসহায় শীতার্তের পাশে মাওলানা গাজী ইয়াকুবের তাকওয়া ফাউন্ডেশন দেশের তিন জেলায় শিক্ষক নিচ্ছে ‘আলোকিত মক্তব’ বৃদ্ধার দাড়ি টেনে ছিঁড়ে ফেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবন্ধীদের ধর্মীয় ও কারিগরি শিক্ষা দিতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে: ধর্ম উপদেষ্টা ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র করার ষড়যন্ত্র সফল হবে না: মাওলানা আরশাদ মাদানী

মিয়ানমারের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ৩ প্রভাবশালী দেশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সাধারণ মানুষের ওপর নৃশংস দমন-পীড়নের অভিযোগে মিয়ানমারের সদ্য নিযুক্ত বিমানবাহিনীর প্রধানসহ সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তাদের ওপর সমন্বিত নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং কানাডা।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে মিয়ানমারের তিন অভিযুক্ত অস্ত্র ব্যবসায়ী ও তাদের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলো এবং অনুমোদিত অস্ত্র ব্যবসায়ী টে জাও দ্বারা নিয়ন্ত্রিত দু’টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও।

শনিবার (২৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

এ ছাড়াও মিয়ানমারের সেনা ইউনিট ৬৬তম লাইট ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, যারা গত বছর বড়দিনের উৎসবের আগে দেশের দক্ষিণপূর্ব কায়াহ রাজ্যে গাড়িতে আগুন দিয়ে ৩০ জন বেসামরিক লোককে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করেছিল।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে বলেন, বার্মার জনগণের প্রতি আমাদের দৃঢ় সমর্থন দেখানোর জন্য, সামরিক শাসনের (মিয়ানমারে) ক্রমবর্ধমান সহিংসতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে আমরা এ পদক্ষেপগুলো নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, সহিংসতা বন্ধ করে বার্মাকে গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আমরা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং তাদের সমর্থনকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অব্যাহত রাখব।

যুক্তরাজ্য অস্ত্র বিক্রেতা এবং তাদের সঙ্গে সংযুক্ত সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, যারা মিয়ানমার বিমানবাহিনীকে বিভিন্ন অস্ত্র সরবরাহ করে। বেসামরিক গ্রামগুলোতে মিয়ানমার বিমানবাহিনীর বোমা হামলায় হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে।

অন্যদিকে তুন অংসহ মিয়ানমারের চার ব্যক্তি এবং দু’টি কোম্পানিকে কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে কানাডা।

সম্প্রতি মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী কর্তৃক সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের নিধনকে আনুষ্ঠানিকভাবে গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন স্থানীয় সময় সোমবার (২১ মার্চ) ওয়াশিংটনের ইউএস হলোকাস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়ামে যুক্তরাষ্ট্রের এই স্বীকৃতির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন।

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সামরিক বাহিনীর সহিংসতার শিকার হন কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। তাদের নিধনে চালানো হয় গণহত্যা। জীবন বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে ১০ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওআইসির সহযোগিতায় ২০১৯ সালে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলা করে গাম্বিয়া। ওই বছর মামলার প্রথম দফার শুনানিও হয়। কিন্তু এসব ঘটনার পরও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সহিংসতাকে গণহত্যার স্বীকৃতি দেওয়া থেকে বিরত ছিল যুক্তরাষ্ট্র।

রয়টার্স বলছে, রোহিঙ্গা নির্যাতনকে দ্রুত গণহত্যা হিসেবে স্বীকার করার জন্য এ-সংশ্লিষ্ট তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। এতে সহায়তা করেছে অন্য একটি আইনি সংস্থা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় ১৪ মাস পর রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে গণহত্যার স্বীকৃতি দিয়ে মিয়ানমারে সহিংসতার বিষয়টি নতুন করে পর্যালোচনা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অ্যান্টনি ব্লিংকেন। এর আগে, বিষয়টি স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ