বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


আট বছর পর ঢাকায় আসছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: দীর্ঘ আট বছর পর সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন আজ মঙ্গলবার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন এবং সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদের সঙ্গে প্রথম দ্বিপক্ষীয় পলিটিক্যাল কনসালটেশন হবে বুধবার।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। সফরে একটি চুক্তি ও একটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। এছাড়া, কেরানিগঞ্জে ইসলামিক আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ভাষা ইনস্টিটিউট করার জন্য ভার্চুয়ালি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন সৌদি মন্ত্রী।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাণিজ্য-বিনিয়োগ এবং অভিবাসন ইস্যু জোরালোভাবে তোলা হবে। অন্যদিকে সৌদি আরবে অবস্থানরত রোহিঙ্গা এবং নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী রিয়াদ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে সামস বলেন, বেশ কয়েকটি বড় আকারের বিনিয়োগ প্রকল্প নিয়ে দুদেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। এছাড়া বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়েও বাংলাদেশ আলোচনা করতে চায়।

উল্লেখ্য, জ্বালানি, বিদ্যুৎ, বিমানবন্দর, বন্দরসহ অনেকগুলো প্রকল্পে সৌদি আরবের আগ্রহ রয়েছে।

তিনি বলেন, সৌদি আরব সবুজায়ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং সেখানে বাংলাদেশ অবদান রাখতে পারে। বনায়ন করার এবং সবুজায়নের অন্যান্য বিষয়ে বাংলাদেশের দক্ষতা রয়েছে এবং সৌদি আরব চাইলে আমরা তাদেরকে এ বিষয়ে সহায়তা দিতে পারবো।

সৌদি আরবের হিসাব অনুযায়ী, ৬৮ হাজার রোহিঙ্গা ওইদেশে অবস্থান করছে এবং তাদের ফেরত নেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছে রিয়াদ।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, সৌদি আরবের বক্তব্য হচ্ছে ওই রোহিঙ্গাদের কিছু সংখ্যকের কাছে বাংলাদেশ পাসপোর্ট আছে এবং কিছু বাংলাদেশ থেকে ওইদেশে গেছে।

তিনি বলেন, এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান হচ্ছে যদি কোনও এমআরপি পাসপোর্টধারী হয় তবে তিনি বাংলাদেশি নাগরিক হিসাবে মেনে নেবে সরকার এবং তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনবে।

এদিকে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সই হওয়া দুদেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তির বাস্তবায়নের তাগিদ দেবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে একজন কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশি সৈন্যরা ইয়েমেনের সঙ্গে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে মাইন পরিষ্কার করবে এ ধরনের একটি সহযোগিতা চুক্তি ২০১৯ এ সই হলেও এখন পর্যন্ত কোনও সৈন্য সেখানে পাঠানো হয়নি।

তিনি বলেন, যুদ্ধ পরিস্থিতি এখনও শান্ত হয়নি এবং সেকারণে বাংলাদেশি সৈন্যদের পাঠানো হচ্ছে না। তবে আমরা সেখানকার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি।

মুসলিম বিশ্বের নেতা হিসাবে আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে আগ্রহ রয়েছে সৌদি আরবের এবং আশা করা হচ্ছে এ বিষয়টি নিয়েও তারা হয়তো কথা বলতে চাইবে বলে তিনি জানান।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ