বেলায়েত হুসাইন।।
বিগত কয়েক বছর যাবত কওমী মাদরাসাগুলোর পড়াশোনা কিছুটা গাইড নির্ভর হয়ে পড়েছিল। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগ্যতা অর্জনের মানসিকতার বদলে জায়গা করে নিয়েছিল ভালো ফলাফল পাওয়ার প্রবণতা। কিন্তু এ বছর কিছুটা ভিন্ন আঙ্গিকে প্রশ্নপত্র তৈরি করে গাইডমুখী পড়াশোনার লাগাম টেনেছে কর্তৃপক্ষ।
চলমান কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় কওমী মাদরাসার সর্ববৃহৎ বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বেফাক) নতুন এ পদক্ষেপে শিক্ষার্থীরা কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়লেও অভিভাবকতুল্য শিক্ষকরা এর প্রশংসা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বেফাক ও সংস্থাটির সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রাজধানীর মিরপুরস্থ মাদরাসাগুলোর মুহতামিমরা।
সোমবার সকাল ৮টার দিকে মিরপুর-১৩-তে অবস্থিত প্রসিদ্ধ কওমী মাদরাসা দারুল উলুম ঢাকায় এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তাতে উপস্থিত মুহতামিমরা বেফাকের নতুন এ পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তারা কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করেন, প্রশ্নপত্র তৈরির সৃজনশীল এ ধারা যেন অব্যাহত থাকে। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এতে আজকের শিক্ষার্থীরা আগামীর যোগ্য আলেম হিসেবে গড়ে উঠবে।
দারুল উলুম ঢাকার মুহতামিম মাওলানা রেজাউল হক মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জামিউল উলুম মিরপুর-১৪-এর মুহতামিম মাওলানা আবুল বাশার নো’মানী, খাদিমুল ইসলামের মুহতামিম মাওলানা শহীদুল্লাহ্ কাসেমী, মিরপুর-৬-এর মুহতামিম মাওলানা আবুল কালাম, আফতাব উদ্দীন মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা নুরুল আলম, দারুল হাবীবের মুহতামিম মাওলানা মুসতাঈন বিল্লাহ, মারকাযুদ্ দিরাসাহ ঢাকার মুহতামিম মাওলানা মামুন আব্দুল্লাহ কাসেমী, দারুল আরকামের মুহতামিম মাওলানা মাহবুবুর রহমান কাসেমী, দারুল হিকমাহর মুহতামিম মাওলানা হাসীবুর রহমান কাসেমী, বায়তুন নুর পীরেরবাগের মুহতামিম মাওলানা নুরুজ্জামান কাসেমী ও মুফতী শরাফাত হুসাইন।
এনটি