মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মাদারীপুরে ‘প্রথম আলো’ ও ‘ডেইলি স্টার’ পোড়ালেন ছাত্র-জনতা ইউপি সদস্যকে হত্যা করতে এসে আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক ৩ চিন্ময়কে মুক্তি না দিলে বাংলাদেশ সীমান্ত অবরোধের হুমকি বিজেপির পিটিআইয়ের সমাবেশ ঠেকাতে পাকিস্তানে নামানো হলো সেনাবাহিনী ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ ঘোষণা করল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সৌদির সেবা কোম্পানির সঙ্গে হজ এজেন্সির চুক্তির নির্দেশনা মহেশখালী থানার বিশেষ অভিযানে পরোয়ানাভুক্ত ১১ জন আসামি গ্রেফতার বৃষ্টির সময় কাবা প্রাঙ্গণে নামাজ আদায় ওমরা পালনকারীদের নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট গ্রাহকদের মূলধন ফেরত পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন মাওলানা আতহার আলীকে বাদ দিয়ে জাতীয় ইতিহাস রচিত হতে পারে না: ধর্ম উপদেষ্টা

চীনের উইঘুর মুসলমানদের ওপর দিন দিন বেড়েই চলছে নির্যাতন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: গত কয়েক বছরে চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ জিনজিয়াং-এ মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে এক গোপন জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ডয়চে ভেলে ও অন্য দুটি জার্মান সংবাদ আউটলেট, জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি গোপন প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, ২০১৬ সাল থেকে, জিনজিয়াং উইঘুর মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বৈষম্য ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়েছে৷ ক্রমবর্ধমান অবস্থায় আশঙ্কজনক হারে বৃ্দ্ধি পাচ্ছে এ নির্যাতন।

জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মানবাধিকার সংস্থা, আইনজীবী, পশ্চিমা দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক সংস্থার তথ্যের আলোকে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। চীনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে গত বছরের ডিসেম্বরে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিবেদনটি তৈরি করে।

চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর সম্প্রদায় তুর্কি-মুসলিম বংশোদ্ভূত এবং তাদের ভাষা তুর্কি ভাষার মতো। উইঘুররা সুন্নি মুসলিম।

জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চীনে মানবাধিকার পর্যালোচনা সংক্রান্ত তার প্রতিবেদনে যোগ করেছে যে জিনজিয়াংয়ে প্রায় ১০ মিলিয়ন উইঘুর মুসলিম রয়েছে। তাদের মধ্যে এক মিলিয়ন আটক বা চীনা কর্তৃপক্ষের বন্দী কেন্দ্র ও ক্যাম্পে রয়েছে।

চীন ২০১৬ সালের শেষ দিকে উইঘুর মুসলিমদের জন্য ক্যাম্প স্থাপন করেছে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, উইঘুর সম্প্রদায় শিবিরে যৌন নিপীড়ন ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে মুসলিমদের।

চীন এই শিবিরগুলোকে মতাদর্শগত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলে, যেখানে যাদের আনা হয় তাদের আদর্শগতভাবে শুদ্ধ করা হয়। বেইজিং সরকার আরও বলেছে, জিনজিয়াংয়ে বেশিরভাগ সহিংসতা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য মুসলিমদের সংগ্রামের কারণে ঘটেছে। এ অভিযোগ ওঠিয়ে তারা মুসলিমদের প্রতিনিয়ত নির্যাতন করে আসছে।

এছাড়াও, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে চীন মিশর, কাজাখস্তান, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ডকে চীন থেকে পালিয়ে আসা উইঘুরদের প্রত্যাবাসনের জন্য চাপ দিচ্ছে। চীনা কর্তৃপক্ষ উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর কড়া নজর রাখছে।

সাম্প্রতিক, অর্থনৈতিক স্বার্থে বেইজিং সরকারের প্রকাশ্যে নিন্দা না করায় বার্লিন সরকার সমালোচিত হয়েছে। সিমেন্স ও ভক্সওয়াগেনের মতো বড় জার্মান কোম্পানিগুলির কারখানা জিনজিয়াংয়ে অবস্থিত।

উইঘুর মুসলমানদের আশ্রয়ের আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করার জন্য জার্মান ফেডারেল অফিস ফর মাইগ্রেশন অ্যান্ড ইমিগ্র্যান্টদের একটি নির্দেশিকা তৈরি করছে। অচিরেই এ বিষয়ে নির্দেশিকা দেয়া হবে। সূত্র: মিল্লাত টাইমস

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ