আবদুল্লাহ তামিম
নির্বাহী সম্পাদক>
ভারতের জমিয়ত উলামা-ই-হিন্দের সভাপতি মাওলানা সৈয়দ আরশাদ মাদানি আহমেদাবাদ বিস্ফোরণে ৩৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করে তিনি বলেন, নিম্ন আদালতের রায় অবিশ্বাস্য। আমরা এ রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাতে হাইকোর্টে যাব ইনশাআল্লাহ।
গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে আল্লামা আরশাদ মাদানি বলেন, আদালতের দেওয়া এই সাজার বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব। আইনি লড়াই চালিয়ে যাব। আরশাদ মাদানী আরো বলেন, আমরা নিশ্চিত যে এই মানুষগুলো উচ্চ আদালত থেকে পূর্ণ ন্যায়বিচার পাবে। অতিতে অনেক মামলায় নিম্ন আদালতে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্ট থেকে খালাস পেয়েছেন।
উদাহরণ দিয়ে আল্লামা আরশাদ মাদানি বলেন, অক্ষরধাম মন্দির হামলার ঘটনায় নিম্ন আদালত মুফতি আবদুল কাইয়ুমসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। গুজরাট হাইকোর্টও নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে, কিন্তু যখন বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছে, আমরা সেখানে কথা বলেছিলাম, সুপ্রিম কোর্ট কেবল সমস্ত লোককে খালাস দেয়নি, তবে আদালত গুজরাট পুলিশকে বোমা বিস্ফোরণে নিরপরাধ লোকদের মিথ্যাভাবে জড়িত করার ষড়যন্ত্রের জন্য কঠোরভাবে তিরস্কার করেছিল।
আল্লামা আরশাদ মাদানি বলেন, বোমা বিস্ফোরণের মতো গুরুতর মামলায় নিম্ন আদালত কঠিন সিদ্ধান্ত দিলেও অভিযুক্তরা সবসময় হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট থেকে স্বস্তি পায়। আমরা আশা করি এক্ষেত্রেও আসামিরা স্বস্তি পাবেন।
তিনি আরো বলেন, প্রয়োজনে এ বিষয়ে আমরাও সুপ্রিম কোর্টে যাব। আগের মামলার কথা উল্লেখ করে মাওলানা মাদানী বলেন, এর আগে নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতে যে ১১ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, তাদের জন্য জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়ে। একজন অভিযুক্তকেও ফাঁসি দেওয়া হয়নি। আমরা তাদের প্রতি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করেছি।
একই সময়ে, মার্কিন কনস্যুলেটে হামলার মামলায় মুম্বাই দায়রা আদালত ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড, একজন অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। তবে জমিয়ত উলামায়ে-হিন্দের প্রচেষ্টায় ৭ অভিযুক্তকে খালাস দেওয়া হয়েছিল। শ্রদ্ধার সাথে আমরা আশা করি, এই মামলার আসামিদের ফাঁসি ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের হাত থেকেও আমরা বাঁচাতে পারব। তাদের খালাস দিতে পারব ইনশাআল্লাহ। সূত্র: মিল্লাত টাইমস।
-এটি