আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই ভারতের কর্ণাটক প্রদেশের স্কুলে হিজাব পরিহিতা ছাত্রীদের হেনস্তার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, এধরণের ঘটনা চরম অমানবিক।
আজ শনিবার এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই ভারতের কর্ণাটকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাবের ওপর বিধি-নিষেধের প্রতিবাদ করে বলেন, হিজাব পরিধান মুসলিম নারীদের ধর্মীয় ও নাগরিক অধিকার।
ভারতের কর্ণাটকের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাবের ওপর যে বিধিনিষেধ প্রদান করেছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। হিজাব পরিধানে বাধা দিয়ে জুলুম নির্যাতন চালিয়ে মুসলমানদের ঈমানী চেতনাকে দাবিয়ে রাখা যাবে না।
ভারতের বিভিন্ন প্রদেশসহ যেসব দেশে মুসলিম নারীদের হিজাব ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, বর্তমান ভারতের বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুসলমানদের দমন-পীড়নে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়। মুসলমানদের নামাজ, কুরবানীসহ হিজাব নিষিদ্ধের পায়তারা করে এবং মুসলমানদের নারী, পুরুষ এবং যুবকদের হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠে। তিনি বলেন, হিজাবের অধিকার কেড়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র থেকে সরে আসতে হবে।
ভারতের সেক্যুলার সংবিধান অনুযায়ী নিজস্ব ধর্মীয় বিধান পালন ও পোশাক পছন্দের বিষয়টি একজন মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু কট্টর হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে ও মুসলিমবিদ্বেষ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য কর্ণাটকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধের মতো সংবিধানবিরোধী নির্লজ্জ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর জেরে ভারতে মুসলিমবিদ্বেষের ঘটনা ঘটেছে। তিনি বাংলাদশের সরকারকে ভারতের উগ্রতার প্রতিবাদ করার দাবি জানান।
-এটি