আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: হোমনা থেকে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে নিখোঁজ হওয়া মাদ্রাসাছাত্র মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন অপহৃত হয়েছিল। অপহরণকারীরা ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিনকে মুক্তি দিয়েছে।
নিখোঁজ শিক্ষার্থী শিহাব উদ্দিনের বাবা উপজেলার ঘাড়মোড়া এ কে এম ফজলুল হক মোল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানা মো. গিয়াস উদ্দিন।
শিহাব উদ্দিন অপহরণকারীদের মোবাইলে ৫০ হাজার টাকা বিকাশ করে দেয়ার পর অপহরণকারীরা রবিবার রাতে শিহাব উদ্দিনকে সিলেটের হবিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে ফেলে রেখে চলে যান।
পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ থানা পুলিশ। এরপর হবিগঞ্জ থানা পুলিশ হোমনা থানায় খবর দিলে হোমনা থানার এসআই আশেকুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ শিহাব উদ্দিনকে হোমনা থানায় নিয়ে এসে স্বজনদের হাতে তুলে দেন।
নিখোঁজ শিহাব উদ্দিনের বাবা উপজেলার ঘাড়মোড়া এ কে এম ফজলুল হক মোল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানা মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, তার ছেলে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার কংশনগরে মনোহরপুর মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন।
গত শনিবার সকাল ৯টার দিকে ঘাড়মোড়া গ্রামের বাসা থেকে মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য আমি তাকে ঘাড়মোড়া বাজারে নিয়ে একটি সিএনজি অটোরিকশায় উঠিয়ে দেই। সে অনুযায়ী দুপুরের মধ্যেই তার মাদ্রাসায় পৌঁছানোর কথা থাকলেও সন্ধ্যায়ও মাদ্রাসায় পৌঁছায়নি। পরে সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে পরে হোমনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি।
গত রোববার আমার মোবাইল ফোনে একটি অপরিচিত মোবাইলফোনে ফোন করে শিহাব উদ্দিনকে ফিরে পেতে হলে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বিকাশে পাঠিয়ে দিতে বলে। এরপর ছেলেকে ফিরে পেতে আমি বিকাশে ৫০ হাজার টাকা পাঠালে তারা শিহাব উদ্দিনকে হবিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে ফেলে রেখে চলে যায়।
অপহরণকারীদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া মাদ্রাসাছাত্র শিহাব বলে, ওই দিন সিএনজিতে করে ঘাড়মোড়া থেকে সে মুরাদনগর কোম্পানীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে আসে।
এ সময় বুড়িচংয়ে মাদ্রাসায় যেতে সে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল। হঠাৎ কয়েকজন লোক তাকে টেনে একটি মাইক্রোগাড়িতে উঠায়। গাড়িতে উঠার পর সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
হোমনা থানার ওসি আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, উদ্ধারকৃত মাদ্রাসাছাত্র শিহাব উদ্দিনকে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
-এটি