আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মাদারীপুরের কালকিনিতে জমি সংক্রান্ত দ্বন্ধের জেরে রমজানপুর চরআইর কান্দি(বাঁশতলা) স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা ভবন রাতের আধারে ভেঙ্গে ফেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী ও মাদরাসা কমিটি।
আজ মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে চরআইর কান্দি গ্রামের মাদরাসা মাঠে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এলাকা ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৪০ বছর পূর্বে উপজেলার রমজানপুর এলাকার চরআইর কান্দি গ্রামে নির্মাণ করা হয় বাঁশতলা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা ভবন। এ মাদরাসা নির্মাণের পর থেকেই নিয়মিত সঠিকভাবে পরিচালনা করে আসছেন শিক্ষক ও কমিটির লোকজন।
কিন্তু জমি সংক্রান্তের বিরোধ নিয়ে একেই এলাকার তালুকদার গোলাম মোস্তফা খোকনের নেতৃত্বে সম্প্রতি রাতের আধারে ওই মাদরাসা ভবনটি সম্পূর্ণরূপে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে করে ওই মাদরাসার সকল প্রকার শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। লেখাপড়া নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. সানাউল হাওলাদার ও জাকির হাওলাদারসহ বেশ কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গোলাম মোস্তফা খোকন তার লোকজন দিয়ে পেশী শক্তি বলে মাদ্রাসার ভবন গুড়িয়ে দিয়েছে। এ কারণে আমাগো সন্তানদের লেখা পড়া বন্ধ হয়ে গেছে।
মাদরাসা কমিটির সভাপতি মো. হারুন হাওলাদার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গোলাম মোস্তফা খোকন তার লোকজন দিয়ে রাতের আধারে আমাদের মাদরাসা ভবন গুড়িয়ে দিয়েছে। মাদরাসার শিক্ষার্থীরা লেখা পড়া থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এ মাদরাসা নির্মাণে স্থানীয় এমপি গোলাপ, নৌ-মন্ত্রী শাহজাহান খান ও বাহাউদ্দিন নাছিমের সহযোগীতা রয়েছে। মাদরাসা ভাঙ্গার পরে খোকন নিজে একটা ভুয়া কমিটি করেছে। তিনি ভুয়া কমিটি গঠন করে বর্তমানে মাদরাসার সম্পূর্ণ জমি তিনি অন্য প্রতিষ্ঠানের নামে দিয়েছে। মাদরাসার জমি ভুয়া মিউটেশন করেছে। যাহা সম্পূর্ণ অবৈধ।
মাদরাসায় বঙ্গবন্ধুর নামে ১২টি ব্যানার করা ছিল তাও লুট করে নিয়ে গেছে। খোকনের বিরুদ্ধে আমরা কোর্টে মামলা করেছি। আমরা খোকনের বিচার চাই।
তবে অভিযুক্ত গোলাম মোস্তফা খোকন ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, হারুন নিজে মাদরাসার জমি আত্মসাৎ করার জন্য আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। ওই জমি হচ্ছে মসজিদের।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি(তদন্ত) নাসির উদ্দিন জানান, বিষটির ব্যাপারে থানা পুলিশ অবগত আছে।
-এটি