নুরুল কবির আরমান।।
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি>
খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে পরকীয়ার জেরে ধারালো দা দিয়ে স্ত্রী পিংকি ও ৪ মাস বয়সী শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়া স্বামী সোলেমানকে সোমবার রাতে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ(সিআইডি)।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) এ ব্যাপারে মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এসময়, সংস্থাটির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ(এসএসপি) সুপার মুক্তা ধর বলেন, পারিবারিকভাবে ২০১৩ সালে খাগড়াছড়ির খালেদা আক্তার পিংকির(২৫) সঙ্গে বিয়ে হয় মো. সোলেমান হোসেনের(৩৫)। তাদের সংসারে ৫বছর ও ৪মাস বয়সী দুটি শিশু সন্তান ছিল।
পিংকির পারিবারিক অবস্থা ভালো হওয়ায় সম্প্রতি যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে সোলেমান। এক পর্যায়ে যৌতুকের টাকা না পেয়ে সোলেমান পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ সম্পর্কে বাধা দেয়ায় নিজের স্ত্রী ও ৪মাসের কন্যা সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করে সোলেমান।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত সোলেমান গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার একটি টেক্সটাইল মিলে অপারেটর হিসেবে কাজ করত। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে পারিবারিকভাবে তার সঙ্গে পিংকির বিয়ে হয়। বিয়ের পর সোলেমান গ্রামের বাড়িতে থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করত। তাদের ১০বছরের সংসারে ফারিয়া সুলতানা(৫) ও সালমা আক্তার জান্নাত (৪মাস) নামে দুই কন্যা সন্তান ছিল।
পুলিশ সুপার মুক্তা ধর আরও বলেন, গলা কেটে হত্যার পর কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে ঘরের মেঝেতে রেখে তালা দিয়ে অন্যত্র পালিয়ে যায় সোলেমান। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর পিংকির বাবা আব্দুল খালেক দুলাল বাদী হয়ে রামগড় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পর পর সিআইডি ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার রাতে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট এলাকা থেকে সোলেমান হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। ডাবল মার্ডারে সোলেমানের সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না জানতে চাইলে সিআইডির এ কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে সোলেমান হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে।
এনটি