সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার আশিককে ৭ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ নারী ধর্ষণে প্রধান অভিযুক্ত আশিকুর রহমান আশিক কারান্তরীণ হওয়ার সাত দিনের মাথায় অবশেষে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার হয়েছে। রোববার তাকে এ মামলায় 'শ্যোন অ্যারেস্ট' দেখানোর পর সোমবার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

গত ২৭ ডিসেম্বর মাদারীপুর হতে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতারের পর তাকে ৫৪ ধারায় কারাগারে পাঠানো হয়। ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তাকে নিয়ে আসা হয় কক্সবাজার জেলা কারাগারে।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আশিককে গ্রেফতারের পর র‌্যাব ৫৪ ধারায় ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালতে সোপার্দ করে। আমরা তাকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কক্সবাজার পাঠাতে কক্সবাজার সদর আদালতে আবেদন করি।

তিনি বলেন, তাকে কক্সবাজার কারাগারে আনার পর রোববার ধর্ষণ মামলায় 'শোন অ্যারেস্ট' দেখিয়ে সোমবার তার ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করি। সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবুল মনসুর সিদ্দীকির আদালতে (সদর) রিমান্ড আবেদনটি মঙ্গলবার শুনানির কথা রয়েছে।

কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার নেছার আহমদ বলেন, ২৭ ডিসেম্বর রাতে আশিককে মাদারীপুর থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এরপর আদালতের মাধ্যমে তাকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তাকে কক্সবাজার কারাগারে আনা হয়। রোববার তাকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।

গত ২২ ডিসেম্বর রাতে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে কক্সবাজার শহরের জিয়া গেস্ট ইন ও সৈকত পোস্ট অফিসের পেছনে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষনের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ওই নারীর স্বামী ৪ জনের নাম ও তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও র‌্যাব। এ ঘটনায় আশিক ছাড়া গ্রেফতার অপর ৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আর সর্বশেষ আশিকেও ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছে তদন্ত দল।

এদিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের এ ঘটনায় বিচারিক অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। সোমবার (৩ জানুয়ারি) সকালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া এ রিট করেন।

রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন সচিব, ট্যুরিস্ট পুলিশসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

আবেদনে ওই ঘটনায় কক্সবাজার জেলা জজ বা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে বিচারিক অনুসন্ধান করার এবং দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ায় কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ