আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কিশোর ছেলের জন্য কেনা বিরিয়ানিতে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিলেন বাবা। রাতে তা খেয়ে বেহুশ হয়ে পড়ে ছেলে। এর পর অচেতন ছেলের গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মেরে খুন করেন তিনি। নিজেও ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন।
আজ শুক্রবার ভারতের শিলিগুড়ির এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ ছেলেকে নিয়ে অবসাদে ভুগছিলেন ওই ব্যক্তি। তার জেরেই এ ঘটনা বলে অনুমান তদন্তকারীদের।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে শিলিগুড়ির ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পার্থ রায় (৫৫) তার ছেলে সুভাষ রায়কে (১৮) খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে লাশগুলোর ময়নাতদন্ত করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পার্থর কিশোর ছেলে মানসিকভাবে স্থিতিশীল ছিল না। ছেলের দেখাশোনার জন্য সব সময় তার সাথেই থাকতেন বাবা। প্রতি দিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতেও খাওয়াদাওয়া সেরে ঘুমিয়ে পড়েন পার্থর বাড়ির লোকজন।
শুক্রবার সকালে তাদের ঘর থেকে বাবা-ছেলে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রতিবেশীরাই থানায় খবর দেন। তাদের দাবি, ছেলের মানসিক অবস্থা নিয়ে অবসাদে ভুগছিলেন পার্থ।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছেলেটি অসুস্থ থাকায় দীর্ঘ দিন ধরে পরিবারের সদস্যদের অবসাদ ছিল। তবে বৃহস্পতিবার রাতে ঠিক কী হয়েছিল, যার জন্য ছেলেকে ‘খুন’ করলেন ওই ব্যক্তি, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের পর রহস্যভেদ হতে পারে বলে দাবি তদন্তকারীদের।
তাদের আরো দাবি, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে বৃহস্পতিবার রাতে ছেলেকে বিরিয়ানির সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিয়ে ছিলেন পার্থ। তার পর সুভাষকে খুন করেন তিনি। এর পর নিজেও আত্মহত্যা করেন।
সূত্র: আনন্দবাজার
-এটি