আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একের পর এক ভেসে উঠছে মরদেহ। বুধবার দুপুর পর্যন্ত আরও দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে গত তিন দিনে ৫টি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। আর এ নিয়ে ওই দুর্ঘটনায় মোট মৃতেও সংখ্য দাঁড়িয়েছে ৪৬-এ।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক কোবাদ আলী সরকার জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা দিকে অগ্নিকাণ্ডের ষষ্ঠ দিনে সুগন্ধা নদীর চরবাটাকান্দা এলাকা থেকে প্রথমে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলার রাজাপুর উপজেলার বিশখালি নদীর ডহর শংকর এলাকা থেকে আরেক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তাদের বসয় আনুমানিক ৪০ বছর।
দু’জনের শরীরেই পোড়া দাগ দেখে লঞ্চের যাত্রীর মরদেহ বলে মোটামোটি নিশ্চিত হওয়া গেছে, বলেন ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো.সাইফুল ইসলাম জানান, অগ্নিকাণ্ডের চতুর্থ দিন থেকে আজ বুধবার পর্যন্ত গত তিন দিনে নদী থেকে ৫টি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এরমধ্যে দুইজনের মরদেহ শনাক্ত করেছেন স্বজনরা। বাকি তিনজনের মরদেহ শনাক্ত হওয়ার পর ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ অসিত সরকার জানান, ঝালকাঠি ও বরগুনায় সিআইডি পুলিশের পক্ষ থেকে নিখোঁজদের স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ সমাপ্ত হয়েছে মঙ্গলবার রাতে।
সিআইডি পুলিশ দুই জেলায় মোট ৪৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে। তবে এখনো কোনো স্বজন যদি নমুনা দিতে চান তবে সিআইডির ঢাকা অফিসে নমুনা দিতে পারবেন।
এদিকে ঝালকাঠি সদর থানায় লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া দুই মামলায় বুধবার দুপুরে পোড়া লঞ্চটি জব্দ করেছে পুলিশ। লঞ্চে পোড়া দুটি মোটরসাইকেলও আলামত হিসেবে সদর থানায় পুলিশ নিয়ে গেছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদী অতিক্রমকালে সদর উপজেলার চরবাটারাকান্দা এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটি অগ্নিকান্ড ছড়িয়ে পড়ে।
পরে ওই লঞ্চ ভেসে ভেসে এক কিলোমিটার পেছনে সুগন্ধা পাড়ের নদীর দিয়াকুল নামক গ্রামে নদীতে তিন ঘন্টাব্যাপী লঞ্চটি পুড়তে থাকে। এ ঘটনায় এখন পযন্ত ৪৬ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজ রয়েছেন অসংখ্য মানুষ।
-এটি