আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ঢাকা থেকে বরগুনাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘এমভি অভিযান-১০’ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরেক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ঝালকাঠির বিষখালী নদী থেকে বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৫ জনে।
দগ্ধদের মধ্যে তিনজন শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। অন্যদিকে বরিশাল মেডিকেলে ৩২ জনের মধ্যে আইসিইউতে আছেন তিনজন।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) ভোর ৩টার দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অগ্নিকাণ্ডে পুরোপুরি পুড়ে যায় বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামে একটি লঞ্চ।
এ ঘটনায় সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে ঝালকাঠি থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখ ও লঞ্চের স্টাফসহ আটজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২০-২৫ জন লঞ্চ কর্মচারীকে আসামি করা হয়েছে।
স্বজনহারা ঢাকার ডেমরার বক্সনগর এলাকার বাসিন্দা মনির হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তার বোন তাসলিমা আক্তার, ভাগ্নি সুমাইয়া আক্তার, সুমনা আক্তার তানিসা ও ভাইয়ের ছেলে জুনায়েদ ইসলাম পুড়ে যাওয়া লঞ্চের মধ্যে ছিল। তারা সবাই নিখোঁজ রয়েছে।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক জানান, দণ্ডবিধির ২৮০, ২৮৫, ২৮৭, ৩০৪(ক) ও ১০৯ ধারায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। ঝালকাঠি থানায় মামলা নং ১২, তারিখ ২৭/১২/২০২১ ।
আসামিরা হলেন- লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখ, দুই মাস্টার রিয়াজ সিকদার ও মো. খলিল, দুই চালক মাসুম ও কালাম, সুপারভাইজার আনোয়ার, সুকানী আহসান ও কেরানী কামরুল। মামলায় দহনশীল দ্রব্য নিয়ে বেপরোয়া জাহাজ চালানো এবং অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছে বলেও ওসি জানান।
এর আগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বরগুনার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলাম নাসির বাদী হয়ে রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে বরগুনা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে মামলার আবেদন করেন। আদালতের বিচারক মুহাম্মদ মাহবুব আলম আবেদন গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন। ওই মামলায় এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখসহ আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
-এএ