আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইউপি নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে ঠাকুরগাঁওয়ে সহিংসতার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে অজ্ঞাত চারশ থেকে পাঁচশ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) রুহিয়া থানার রাজাগাঁও ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ আসাননগর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার তৌকির আহম্মেদ বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
ওই কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় পুলিশের গুলিতে হামিদুর রহমান নামে এক ব্যাক্তি নিহত হয়েছেন।
এদিকে ওই ঘটনার পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। শোকাবহ পরিবেশের মধ্যে মামলা আতঙ্কে এখন গ্রাম ছাড়া অনেকে।
গত রোববার (২৬ ডিসেম্বর) চতুর্থ দফা নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিশটি ইউনিয়নের ১৮৮টি ভোট কেন্দ্রে দু-একটি বিছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সদরের রাজাগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ আসাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলাকালে এক ব্যক্তি কক্ষ থেকে বের হয়ে ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী মাসুদ রানা জয় হয়েছে বলে জানান দেন।
জয়ের খবর শুনে মাসুদ রানার সমর্থকরা উল্লাস করলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহ আলমের সমর্থরা প্রিজাডিং অফিসার ও প্রশাসনকে ফলাফল ঘোষণা দিতে চাপ প্রয়োগ করে। এত দু’পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ বাঁধে। এ সময় পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ ব্যর্থ হয়ে গুলি ছুড়লে হামিদুর রহমান নিহত হয়। আহত হয় আরও কয়েকজন।
নিহতের পরিবারের স্বজনরা জানান, হামিদুরের কোনো দোষ ছিল না। তিনি ভোট দিয়ে বাড়িতে ফিরে আবার ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলেন ফলাফল জানতে। পরে সংঘর্ষের সময় পুলিশ গুলি করলে মারা যান তিনি। আমরা এমন ভোট চাই না, যে ভোটের কারণে মানুষের প্রাণ যায়।
রাজাগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশারুল ইসলাম জানান, কিছু উসকানিদাতাদের কারণে একজন প্রাণ হারিয়েছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িতের বিচার চাই।
এ বিষয়ে সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি সামাল দিতেই গুলি চালিয়েছে পুলিশ। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
-এএ