আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সুগন্ধার পাড়ে দিগ্বিদিগ হয়ে ছুটছেন সুমন মিয়া। ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে বরগুনা আসছিলেন তার স্ত্রী সন্তানসহ চারজন। হতবিহ্বল হয়ে বার বার পোড়া লঞ্চ ও এর আশপাশে খুঁজে চলেছেন তিনি।
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন তার স্ত্রী তাসলিমা, কন্যা সুমাইয়া আক্তার মিম, সুমনা আক্তার তানিশা ও ছেলে জুনায়দে। নিখোঁজ সবার বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের মোল্লার হোড়া গ্রামে।
শিমুল বলেন, আমার স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরা ঢাকায় থাকত। বেড়াতে বরগুনা আসছিল। রাত ৩টা ১০ মিনিটে মোবাইলে জানায় তাদের লঞ্চে আগুন ধরেছে । তারা সবাই বাঁচার জন্য ছোটাছুটি করছে। কথা বলতে বলতেই মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর একাধিকবার ফোন দিয়েও আর তাদের পাওয়া যায়নি। এরপর খবরে জানতে পেরে তাৎক্ষণিক এখানে ছুটে এসেছি। কিন্তু কোথাও তাদের খুঁজে পাইনি। তারা আদৌ বেঁচে আছে না মরে গেছে তাও বলতে পারছি না।
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে নিজের ছোট সন্তানকে নিয়ে বেঁচে ফিরেছেন সোনিয়া বেগম। ঢাকা থেকে চারজন ফিরছিলেন তারা। ছোট ছেলেকে বাঁচাতে পারলেও নিখোঁজ রয়েছে তার বড় ছেলে জুনায়েদ ও মা রেবা বেগম। সোনিয়ার বাড়ি বরগুনার তালতলী উপজেলার জাকিরতবক এলাকায়।
সোনিয়া বেগম বলেন, রাতে সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে আগুন লাগলে সবাই হুড়োহুড়ি শুরু করে। অন্যদের দেখে তারাও ছোটাছুটি শুরু করেন। এরপর আর তার মা ও ছেলের সঙ্গে দেখা হয়নি। তিনি কোনোমতে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ছোট ছেলেকে নিয়ে তীরে উঠতে পারলেও তার ছেলে আর মায়ের সন্ধান মেলেনি এখনো।
এনটি