আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে যৌথভাবে কাবুল বিমানবন্দর পরিচালনার জন্য তুরস্ক ও কাতার সম্মত হয়েছে। তুরস্কের আনাদোলু এজেন্সি এই খবর প্রকাশ করেছে।
কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে খবরে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে কাবুল বিমানবন্দর পরিচালনার বিষয়ে তুরস্ক এবং কাতারের প্রতিনিধিদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সমঝোতা হয়।
এ লক্ষ্যে গত ৭ ডিসেম্বর তুরস্ক ও কাতারের কোম্পানিগুলো সম-অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একটি স্মারকে স্বাক্ষর করে।
সূত্র জানিয়েছে, গত ৭ ডিসেম্বর তুরস্ক-কাতার ‘সুপ্রিম স্ট্রাটেজিক কমিটি’র সপ্তম বৈঠকে মিলিত হয়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসগলু। তিনি উপস্থিত থেকে এই চুক্তি করেন।
চুক্তির পর কাতারের টেকনিক্যাল ডেলিগেশন টিমের সঙ্গে আলোচনা করতে তুরস্কের একটি টিম দোহায় যায়।
তুরস্কের ডেইলি সাবাহর খবরে বলা হয়েছে, তুরস্ক ও কাতারের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ প্রতিনিধি দল এখন কাবুলে ভ্রমণ করবেন। সেখানে তারা বিমানবন্দর পরিচালনার বিষয়ে তালেবান সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন। এই প্রতিনিধিরা তালেবান কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিমানবন্দর পরিচালনা করতে প্রয়োজনীয় বিষয়ের দাবি পূরণের আশা করছেন। আলোচনার পর তারা পরিস্থিতি পরিমাপ করবেন।
সোমবার তুস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাভুসগলু বলেন, দোহা এবং কাবুলে আলোচনার পর কাতারের সঙ্গে মিলে তার দেশ আফগানিস্তানের পাঁচটি বিমানবন্দর পরিচালনা করবে।
কাবুলে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ চালু করতে তুরস্ক ও কাতার যৌথভাবে আফগানিস্তানে কাজ করছে। তবে কাবুল বিমানবন্দরে বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালুর আগে বিমানবন্দর সংস্কার করা প্রয়োজন।
গত আগস্টে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ও ন্যাটো সৈন্য প্রত্যাহারের পর কাবুল বিমানবন্দর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে। বর্তমান তুরস্ক, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত বিমানবন্দরটি চালুর জন্য কাজ করছে। বিমানবন্দর ব্যবহার করে স্বল্প সংখ্যক ফ্লাইট ওঠানামা করছে।
যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর তুরস্ককে কাবুল বিমানবন্দর রক্ষার দায়িত্ব দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তালেবান তখন রাজি হয়নি। পরে তালেবান সরকার নিজেরাই তুরস্ককে বিমানবন্দরে টেকনিক্যাল সহায়তা দিতে আহ্বান জানাই। তবে তুরস্ক বিভিন্ন বিষয় পরিমাপ করে অবশেষে কাতারের সঙ্গে মিলে বিমানবন্দর পরিচালনায় রাজি হয়েছে।
এনটি