আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: রাজধানীর গণপরিবহন খাতকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে আগামী বছরের মধ্যে পুরো গ্রীন ক্লাস্টারে বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
তিনি বলেন, ‘আমাদের যে সকল অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন ছিল...উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের .... আমরা তোড়জোড় করে সে কাজগুলো সম্পন্ন করছি। আশা করি, আগামী ২০২২ সালের মাধ্যেই এর পূর্ণ বাস্তবায়ন হলে ঢাকাবাসী যথাযথ সুফল পাবে।’
গতকাল বুধবার সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নগরীর শংকরে পথচারী পারাপার সেতুর উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র তাপস বলেন, আপনারা জানেন আমাদের বাস রুট রেশেনালাইজেশন যে কার্যক্রম চলছে। আগামী ২৬ ডিসেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী শুভ উদ্বোধন করবেন। এই প্রেক্ষিতে যাত্রী ছাউনি, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বাস-বে নির্মাণ করা করা হচ্ছে। আমরা সেগুলো পরিদর্শন করছি। আমরা আশাবাদী যে, আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে এই যাত্রাপথে সূচনার মাধ্যমে ঢাকা শহরের পুরো গণপরিবহনে একটি শৃঙ্খলা ফিরে আসা শুরু করবে।
বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে ঢাকা নগর পরিবহন। সেদিন কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত প্রায় ২১ কিলোমিটার রুটে চলবে সবুজ রঙের বাসগুলো।
প্রথম ধাপে ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর রুটে বিআরটিসির ৩০টি বাস এবং ট্রান্সসিলভার ২০টি বাস নিয়ে ঢাকা নগর পরিবহনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে। প্রথমে ৫০টি বাস নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও কিছুদিনের মধ্যে এ রুটে মোট ১০০টি বাস চলাচল করবে।
শেখ ফজলে নূর তাপস আগেই জানিয়েছেন, পরীক্ষামূলকভাবে চালু হতে যাওয়া রুটে যে ক'টি বাসের রুট পারমিট আছে সেগুলোকে এই গ্রীন ক্লাস্টারের অন্য রুটে সমন্বয় করে দেওয়া হবে।
যেসব বাসের রেজিস্ট্রেশন ও রুট পারমিট আছে, সেসব বাসই কেবল এ রুটে বাস পরিচালনা করতে পারবে। প্রথম দিন থেকেই এ রুটের বাসগুলোতে ই-টিকিটিং সিস্টেম চালু করা হবে। প্রতিটি বাসের ড্রাইভার-স্টাফদের নির্দিষ্ট পোশাক থাকবে, সেইসঙ্গে তাদের আইডি কার্ড গলায় ঝোলানো অবস্থায় থাকবে।
-এএ