আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় মুজিবুর (৫০) নামে এক গরু ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে বাড়ির অদূরে জমিতে পা বাঁধা ও শরীরে আগুন দিয়ে পোড়ানো অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
নিহত মুজিবুর উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের তেরতোপা গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর ছেলে।
নিহতের ভাগনে রাকিব মিয়া বলেন, আমার মামা গরু কেনাবেচার ব্যবসা করতো। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মামার সঙ্গে আমার শেষ দেখা। রাত ১১টার দিকে ফোনে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দেখতে পাই। মামার পা বাঁধা অবস্থায় শরীরের বিভিন্ন স্থান পুড়ে রয়েছে। আমাদের ধারণা আগেই মারা হয়েছে। পরে খড় ও পেট্রল ঢেলে লাশ পোড়ানো হয়েছে।
মুজিবুরের বড় ভাই আতাবুর রহমান জানান, কয়েক দিন আগে আমার ছেলে আনিজুল ইসলামকে চৈতা গ্রামের আমির হামজা বলে ‘তোর চাচা (নিহত মুজিবুর) পাওনা টাকা ফেরত না দিলে আমি (হামজা) কিন্তু একটা কিছু করবাম।’ এ ছাড়া আমার ভাইয়ের কোনো শত্রু ছিল না।
অন্যদিকে, কলমাকান্দা উপজেলায় বাড়ির পাশে পুকুর থেকে হুমাইরা নামে আড়াই মাসের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সে পোগলা ইউনিয়নের গুডমন্ডল গ্রামের মোশারফ ও মোমেনা দম্পতির মেয়ে।
হুমাইরার ফুফা আজিজুল জানান, মঙ্গলবার বিকেলের দিকে খবর পায় হুমাইরাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাত ১১টার দিকে বাড়ির পাশে পুকুরে বাচ্চাটিকে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পাওয়া গেলে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
কলমাকান্দা থানার ওসি মো. আবদুল আহাদ খান দুই লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা মুজিবুরকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। পরে লাশ গায়েবের উদ্দেশ্যে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করেছে।
শিশুর মৃত্যুর বিষয়ে ওসি বলেন, আড়াই মাসের শিশু কীভাবে পানিতে গেল, ঘটনাটি তদন্তের বিষয়। লাশ দুটি মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।
এনটি