বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে দেশ: ফখরুল চক্রান্তের ফাঁদে না পড়ে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণের আহ্বান শায়খ আহমাদুল্লাহর ভোলায় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও স্মরণসভা চরমোনাইর বার্ষিক অগ্রহায়ণ মাহফিল বুধবার, চলছে সর্বশেষ প্রস্তুতি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান আসিফ মাহমুদের অসহায় শীতার্তের পাশে মাওলানা গাজী ইয়াকুবের তাকওয়া ফাউন্ডেশন দেশের তিন জেলায় শিক্ষক নিচ্ছে ‘আলোকিত মক্তব’ বৃদ্ধার দাড়ি টেনে ছিঁড়ে ফেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবন্ধীদের ধর্মীয় ও কারিগরি শিক্ষা দিতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে: ধর্ম উপদেষ্টা ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র করার ষড়যন্ত্র সফল হবে না: মাওলানা আরশাদ মাদানী

ইসলাম মেনেই সুদের হার বাড়াচ্ছি না: এরদোগান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: তুরস্কের মুদ্রা লিরার দাম ক্রমবর্ধ্মান হারে কমছে। আর এরদোয়ানের দাবি, তিনি ইসলাম মেনে সুদের হার কম রেখেছেন।

গতকাল সোমবারও লিরার দাম পড়ে যায়। কিন্তু এরদোগান টিভিতে ভাষণ দিয়ে জানিয়ে দেন, তিনি আর্থিক নীতি বদলাবেন না। এরদোগান বলেছেন, ইসলাম মেনেই তিনি সুদের হার বাড়াচ্ছেন না। এই ভাষণের পর লিরার দাম সামান্য বাড়ে।

কিন্তু তুরস্কে এখন জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। মুদ্রাস্ফীতির হার ২০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। তা সত্ত্বেও এরদোগান সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ককে সুদের হার সমানে কমাতে বলছেন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই নীতির ফলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতির হার ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে।

এরদোগান তার ভাষণে বলেছেন, তিনি ইসলামকে অনুসরণ করেই চলবেন। সেজন্যই তিনি সুদের হার কম করতে বলেছেন। তবে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাহায্য করার কথা বলেছেন এবং পেনশন তহবিলে আরো অর্থ দেয়ার কথা জানিয়েছেন।

এরদোগান বলেছেন, ‘একজন মুসলিম হিসাবে আমি সেটাই করব, যা আমাকে ধর্ম করতে বলে। সেটাই আমার কাছে একমাত্র নীতিনির্দেশিকা’।

সোমবার একসময় লিরার দাম ডলারের তুলনায় ১১ শতাংশ কমে যায়। বেলার দিকে দাম কিছুটা বাড়ে। লিরার দাম কমে যাওয়ায় তুরস্কের সাধারণ মানুষ এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার ক্ষেত্রে বিপাকে পড়েছেন।

এরদোগানের ভাষণের পর লিরার দাম ১০ শতাংশ বাড়ে। নভেম্বরের গোড়া থেকে লিরার দাম ৪৫ শতাংশ পড়ে গেছে। সোমবার দেশের প্রধান শেয়ার বাজারে একসময় বেচাকেনা কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়।

বিদেশি কূটনীতিকরা মনে করছেন, এরদোগান ভাবছেন, আর্থিক উন্নতি হলে ২০২৩ সালের নির্বাচনে তিনি সহজে জিতবেন। এর ফলে তিন দশক ধরে তিনি তুরস্কে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন।

এরদোগান মনে করেন, মুদ্রার দাম কম হলে রফতানি বাড়বে। কিন্তু অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মুদ্রাস্ফীতি কমাতে হলে সুদের হার বাড়াতে হবে। এর্দোয়ান আবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি মুদ্রাস্ফীতির হার চার শতাংশের মধ্যে রাখবেন।

গতমাসে এরদোগান বলেছিলেন, তিনি আর্থিক স্বাধীনতার লড়াই লড়ছেন। লক্ষ্য হলো, তুরস্ককে বিদেশি বিনিয়োগের নির্ভরতা থেকে বের করে আনা।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ