আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ওআইসির ১৭তম বিশেষ সম্মেলনে রোববার অর্থনৈতিক সংকটে পড়া আফগানিস্তানকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মুসলিম দেশগুলো।
দেশটির লাখ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্য ও ক্ষুধা নিয়ে দিনাতিপাত করছেন।
এ পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানকে অর্থনৈতিক সংকট থেকে বাঁচাতে মানবিক সহায়তা ফান্ড গঠন করে অর্থ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মুসলিম দেশগুলো। খবর দ্য ডনের।
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের (ওআইসি) সদস্যভুক্ত ৫৭ দেশের প্রতিনিধিরা বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেন।
রোববারের ওআইসি সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, এখনই ব্যবস্থা না নিলে আফগানিস্তানে লাখ লাখ মানুষ চরম দুর্দশার মধ্যে পড়বেন। আফগানিস্তান বিশৃঙ্খলার দিকে চলে যাবে।
এমনিতেই দশকের পর দশক ধরে যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত আফগানিস্তান।
আফগানিস্তানে বর্তমানে যা আর্থিক পরিস্থিতি, তাতে এই প্রবল শীতে লাখ লাখ মানুষ অভুক্ত থাকবেন। সেই মানবিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসার জন্যই সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিলো ওআইসির সদস্য দেশগুলো।
২০ বছর পর গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণে নেয় তালেবান। এর পর সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে তালেবান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার ঘোষণা দেয়। অবশ্য সরকার গঠন করলেও বিশ্বের কোনো দেশই এখনও পর্যন্ত তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।
জাতিসংঘ সম্প্রতি তালেবানের পক্ষ থেকে ওই সংস্থাটিতে একজন প্রতিনিধি নিয়োগের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে আফগানিস্তানের বৈশ্বিক স্বীকৃতি আদায়ে তালেবান সরকারকে সহযোগিতা করছে পাকিস্তান।
মূলত পাকিস্তানের উদ্যোগেই রোববার ইসলামাবাদে আফগানিস্তান নিয়ে এই প্রথমবার এতো বড় আকারে বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। এর আগে রাশিয়া ও ভারতের উদ্যোগে আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে সেটি ছিল রোববারের তুলনায় আকারে বেশ ছোট।
পকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি জানিয়েছেন, আফগনিস্তানের জন্য ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে (আইডিবি) একটি ফান্ড খোলা হবে। তবে তার এই উদ্যোগ কতটা সফল হবে নিশ্চিত নয়। কারণ আফগানিস্তানের আর্থিক সংকট বেশ প্রকট আকার ধারণ করেছে।
জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বৈশ্বিক অনেক সংস্থাই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে। তবে পশ্চিমা দেশগুলো আফগানিস্তানকে অর্থসাহায্য করার ক্ষেত্রে বিশেষ উৎসাহ দেখাচ্ছে না। কারণ অর্থ সাহায্য করলে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে মনে করছে তারা। ফলে তালেবানকে স্বীকৃতি না দেওয়া দেশগুলো শেষ পর্যন্ত কতটা সাহায্যের হাত বাড়াবে, তা স্পষ্ট হয়নি।
এনটি