জুলফিকার জাহিদ।।
সৌদি আরবে তাবলীগ নিষিদ্ধ ইস্যুতে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর, শায়েখে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।
তিনি বলেছেন, ‘সৌদি আরব তাবলীগওয়ালাদের মাজার পূজারী ও সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে যেই প্রজ্ঞাপন জারি করেছে তা আদৌ সত্য নয় এবং তাবলীগের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ কল্পনাপ্রসূত’।
‘নবীজির দেশে নাচ গান অবাধে চলছে অথচ তাবলীগ নিষিদ্ধ হচ্ছে’ একে তিনি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
তিনি আরো বলেন, আল্লাহ তায়ালা ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না।
তিনি আরো যুক্ত করেন, ‘ইবনে সালমান সৌদি আরবে তাবলীগ নিষিদ্ধ করে হকপন্থী আলেমদের জেলখানায় বন্দি করছে। এদিকে নারীদের বেপর্দায় ঘর থেকে বেরোনোর অনুমোদন দিচ্ছে, আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি এমন ব্যক্তিদের আল্লাহ তা'আলা সম্মানের সাথে রাখেন না’।
সৌদি আরবে তাবলীগ নিষিদ্ধ ইস্যুতে বাংলাদেশের কিছু আলেম পরিচয়ধারীর উল্লাস প্রকাশের বিষয়টি সামনে এনে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘সৌদি আরবে যখন গান নাচের কনসার্ট হয় এ বিষয়ে তারা কোন কথা বলছে না, ইসরায়েল মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এ বিষয়েও তাদের কোন কথা নেই, ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক, তেল আবিবের দূতাবাস খোলার বিষয়েও তাদের কোন কথা নেই, এমনকি সৌদি আরবে মূর্তি পূজকদের উপসনালয় খোলা নিয়েও তাদের মুখে টু শব্দ নেই, অথচ তাবলীগ নিয়ে সৌদি আরবের নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে তারা খুশি প্রকাশ করছে এবং ফতোয়া দিয়ে যাচ্ছে, তিনি বলেন এরা হচ্ছে নামধারি এবং ইহুদিদের দালাল’।
প্রসঙ্গত, সৌদী আরবের ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রী ডক্টর আব্দুল লতিফ আলে শায়খের নির্দেশে তাবলীগ জামাতের বিরুদ্ধে জুমার খুৎবা দিতে প্রজ্ঞাপন জারী করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় কর্তৃক লিখিত আরবি খুতবাটিতে তাবলীগী কাজের নিন্দা করা হয়েছে। সৌদি আরবের এমন কর্মকাণ্ডে মুসলিম বিশ্বের নানা মহল থেকে নিন্দা জানানো হয়েছে।
সৌদি আরবের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা তাবলীগ জামাত বিরোধী প্রজ্ঞাপন ইস্যুতে পাকিস্তানে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত নাওয়াফ বিন সৌদ আল মালেকির সাথে সাক্ষাত করেছেন দেশটির মুফতিয়ে আজম, সাবেক বিচারপতি, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া পাকিস্তানের প্রধান ও শাইখুল ইসলাম মুুফতি তাকি উসমানি।
এনটি