আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: হিমালয়ের কূলঘেষা সীমান্তবর্তী উত্তরের পঞ্চগড় জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে এখানে ৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। বিকেল থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঘনকুয়াশার পাশাপাশি উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা মৃদু হিমেল বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাসেল শাহ জানান, রোববার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এটিই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গতকাল শনিবারও এখানে একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এখানে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ থেকে এখানে শীতের প্রকোপ আরো বাড়বে এবং ঘনকুয়াশার পাশাপাশি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি জানান, দিনের বেলায় রোদের তেজ বেশি থাকায় রোববার ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি, শনিবার ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি, শুক্রবার ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি ও বৃহস্পতিবার ২৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আদ্রতা এই জেলায় ৯৩ থেকে ১০০ শতাংশ এবং ২ থেকে ৫ নটিকেল মাইল বেগে প্রতিঘণ্টায় বাতাস বয়ে যাচ্ছে।
এদিকে এবার পঞ্চগড়ে একটানা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করলেও দিন ও রাতের তাপমাত্রার বেশ পার্থক্য থাকছে। রাতে ও সকালে তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে আবার দিনের মধ্য ভাগে রোদের প্রচণ্ড তাপে উষ্ণতা ছড়িয়ে দিচ্ছে জেলা শহরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে।
অপরদিকে, জেলা প্রশাসন জেলার পাঁচ উপজেলায় এ বছরও ২২ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। বিতরণকৃত শীতবস্ত্রের সংখ্যা চাহিদার তুলনায় নগন্য।
পঞ্চগড় শহরের ডোকরোপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ মজিরুল ইসলাম জানান, অন্যান্য বছরগুলোতে এই সময়ে সারাদিন সূর্যের মুখ দেখা যেত না, মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারতো না। উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হতো। কিন্তু এবার শীতের পরিস্থিতিটা একটু ব্যতিক্রম। সকাল রাতের শীত থাকলেও দিনে তেজদীপ্ত রোদ উষ্ণতা ছাড়ায়।
সূত্র: ইউএনবি।
এনটি