আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: টান ১৭ মাস কারাভোগ করার পর ইহুদিবাদী ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ফিলিস্তিনের ইসলামী আন্দোলনের নেতা শেখ রায়েদ সালাহ।
সালাহ একজন ফিলিস্তিনি নাগরিক এবং উত্তর ইসলামী আন্দোলনের প্রাক্তন প্রধান। সোমবার সকালে নাজারেথ শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে তার নিজ শহর উম্ম আল-ফাহমের উত্তরে মেগিদ্দো কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয় তাঁকে।
পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং অনুসারীসহ অনেক মানুষ উম্ম আল-ফাহমের প্রধান প্রবেশপথে ব্যানার এবং মিষ্টি নিয়ে সালাহকে স্বাগত জানাতে জড়ো হয়েছিল।
সালাহর আইনজীবী খালেদ জাবারকা বলেন, এটি ব্যথা ও সুখের এক মিশ্র অনুভূতি। অনেক বেদনা আছে। সে অনেক অবিচার সহ্য করেছে। ইসরাইলের দ্বারা সে অন্যায়ের মুখোমুখি হয়েছে। এর জন্য তিনি তাঁর জীবনে অনেক মূল্য দিয়েছেন।
২০১৭ সালের আগস্টে ইসরাইলি পুলিশ সালাহকে গ্রেপ্তার করে। মুক্তি পাওয়ার আগে তিনি ১১ মাস কারাগারে কাটান এবং তার বিচার চলাকালীন তাঁকে দুই বছরের জন্য বিধি-নিষেধমূলক গৃহবন্দি করা হয়। ২০২০ সালের আগস্টে সালাহকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয় এবং ২৮ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
শেখ রায়েদ সালাহর জন্ম ১৯৫৮ সালে। সালাহ ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের একজন। তিনি উম্ম আল-ফাহমের প্রাক্তন মেয়র ছিলেন। সালাহ ২০১৫ সাল পর্যন্ত ইসলামী আন্দোলনের উত্তর শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
কয়েক বছর আগে, ইহুদিবাদী শাসক শেখ রায়েদ সালাহর নেতৃত্বে ফিলিস্তিনি ইসলামী আন্দোলনের কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
-এটি