বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে দেশ: ফখরুল চক্রান্তের ফাঁদে না পড়ে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণের আহ্বান শায়খ আহমাদুল্লাহর ভোলায় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও স্মরণসভা চরমোনাইর বার্ষিক অগ্রহায়ণ মাহফিল বুধবার, চলছে সর্বশেষ প্রস্তুতি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান আসিফ মাহমুদের অসহায় শীতার্তের পাশে মাওলানা গাজী ইয়াকুবের তাকওয়া ফাউন্ডেশন দেশের তিন জেলায় শিক্ষক নিচ্ছে ‘আলোকিত মক্তব’ বৃদ্ধার দাড়ি টেনে ছিঁড়ে ফেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবন্ধীদের ধর্মীয় ও কারিগরি শিক্ষা দিতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে: ধর্ম উপদেষ্টা ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র করার ষড়যন্ত্র সফল হবে না: মাওলানা আরশাদ মাদানী

প্রায় তিন বছর বন্ধ থাকার খুলছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: প্রায় তিন বছর বন্ধ থাকার পর অবশেষে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বিদেশি কর্মীদের জন্য খুলছে। গতকাল শুক্রবার মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভা বাংলাদেশ থেকে কর্মী যাওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করেছে। এ ছাড়া কভিড মহামারির কারণে বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশ থেকে কর্মীদের মালয়েশিয়ায় ফেরার ওপর নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া হয়েছে।

গতকাল এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান বলেছেন, বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়ায় নিয়োগ দিতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করার বিষয়ে মন্ত্রিসভা সম্মত হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে এই এমওইউ স্বাক্ষর করার পরপরই মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া শুরু করবে।

তিনি বলেন, আগে শুধু বনায়ন খাতে বিদেশি কর্মী নেওয়া হতো। এখন সব খাতই বিদেশি কর্মীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বনায়ন, কৃষি, উৎপাদন, সেবা, খনিজ সম্পদ আহরণ, নির্মাণ খাতে ও গৃহকর্মী হিসেবে বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, কভিড বিস্তার ঠেকাতে বিদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশের বিষয়ে ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারের্টি প্রসিডিউর (এসওপি)’ হালনাগাদ করা হবে। এ ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলকে সহযোগিতা করবে। স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিদেশিদের কোয়ারেন্টিনে রাখার বিষয়টিও থাকবে।

এদিকে গত সপ্তাহে ফেডারেশন অব মালয়েশিয়ান ম্যানুফ্যাকচারারস (এফএমএম) এক বিবৃতিতে জানায়, শিল্প খাতে আগামী বছর নাগাদ তাঁদের ছয় লাখের বেশি শ্রমিক লাগবে। রপ্তানিভিত্তিক কম্পানিগুলোতে এই শ্রমিকের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি।

প্রসঙ্গত, মালয়েশিয়ায় বর্তমানে ১০ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি কর্মী আছে। ২০১৮ সালে প্রায় পৌনে দুই লাখ কর্মী মালয়েশিয়ায় পাঠানো হয়েছিল। ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সি বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে দুই দেশের সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছিল। সে সময় অন্য রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো এর প্রতিবাদ জানায়। ওই বছরই সেপ্টেম্বর মাসে মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে শ্রমবাজার বন্ধ আছে।

কোভিড মহামারি শুরুর পর বিশ্বের অনেক দেশের মতো মালয়েশিয়াও বিদেশি কর্মী বন্ধ করে দেয়। কভিড পরিস্থিতি উন্নতির পর বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সরকার গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভার্চুয়াল বৈঠক করে। সেই বৈঠকে বাংলাদেশিদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

মালয়েশিয়ার সঙ্গে যে সমঝোতা হচ্ছে তাতে রিক্রুটিং এজেন্সির সিন্ডিকেট থাকবে না। মালয়েশিয়া সরকার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদকে দেশটি সফরে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। শিগগিরই মালয়েশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী মালয়েশিয়া সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তিনি আশা করেন, এ মাসেই সমঝোতা স্মারকটি সই হবে।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ