আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আফগানিস্তানে আইএস সন্ত্রাসীদের কোনো জায়গা নেই। গোষ্ঠীটি এখন আর আফগানিস্তানের জন্য হুমকিও নয়।
আনাদোলু এজেন্সিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এই দাবি করেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুখপাত্র এবং সরকারের সংস্কৃতি ও তথ্য বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপমন্ত্রী জবিউল্লাহ মুজাহিদ।
তালেবান মুখপাত্র আরো বলেন, আফগান সরকার গত তিন মাসে খোরাসান প্রদেশের ইসলামিক স্টেটের (আইএসকেপি) ৬৭০ জনেরও বেশি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় পূর্ব নাঙ্গারহার প্রদেশের রাজধানী কাবুল ও জালালাবাদে তাদের ২৫টি আস্তানাও ধ্বংস করা হয়েছে। তাই আইএস এখন আর আফগানিস্তানের জন্য বড় হুমকি নয়।
তিনি সাবেক সরকারকে অভিযুক্ত করে বলেন, আশরাফ ঘানির সরকার তালেবানদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য কাবুল ও নাঙ্গারহার প্রদেশে আইএসআইএসকে শক্তিশালী করে তুলেছিল।
গত আগস্টের মাঝামাঝিতে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। এরপর উত্তর কুন্দুজ ও দক্ষিণ কান্দাহার প্রদেশে শিয়া মসজিদে দুটি মারাত্মক বোমা হামলা চালিয়েছে আইএস। দুটি হামলায় প্রায় ১০০ জন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছেন। এছাড়া কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের কাছে চালানো বোমা হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ১৭০ জন আফগান নিহত এবং ১৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
তালেবান মুখপাত্র বলেন, আগস্টে আমরা যখন কাবুলে প্রবেশ করি, তখন সেখানে কোনো নিরাপত্তা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল না। বিষয়টি আইএসকে মসজিদ ও জনকোলাহলপূর্ণ স্থানগুলোতে হামলা চালিয়ে বেসামরিকদের মধ্যে ভয় ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করেছিল। আমরা বলতে চাই, আফগানিস্তানে সন্ত্রাসীদের কোনো স্থান নেই। কারণ আফগান জনগণ তাদের মতাদর্শ প্রত্যাখ্যান করেছে।
জবিউল্লাহ মুজাহিদ জানান, আমাদের যোদ্ধারা রাষ্ট্রপতি প্রাসাদ এবং আশরাফ ঘানি সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বাড়ি থেকে ২০ মিলিয়নেরও বেশি ডলার উদ্ধার করেছে। সেই অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহসহ সরকারি কর্মকর্তাদের বাসভবন থেকে ১২ মিলিয়ন ডলারের বেশি নগদ এবং সোনার ইট পাওয়া গেছে।
-এটি