আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: খুলনার কয়রা উপজেলায় শাকবাড়িয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের গাতিরঘেরী ও হরিহারপুর গ্রাম আবারও প্লাবিত হয়েছে। এতে করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে দুই গ্রামের প্রায় দুইশ পরিবার।
বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে শাকবাড়িয়া নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পায়। নদীতে প্রবল স্রোত ও স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত শনিবার রাতে হরিহারপুর লঞ্চঘাটের পূর্বপাশ থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ পুনরায় ভেঙে যায়।
এ বছরের ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে একই স্থানে ভেঙে প্লাবিত হয়েছিল ওই এলাকা। তারপর ওই স্থানের বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছিল। তবে অভিযোগ উঠেছে, বেড়িবাঁধ নির্মাণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড (বোর্ড বিভাগ-২) সূত্রে জানা গেছে, জরুরি ভিত্তিতে খুলনার কয়রা উপজেলার পোল্ডার ১৪/১ এর হরিপুর লঞ্চঘাটের পূর্বপাশ থেকে ৪১০ মিটার পর্যন্ত টিউব দ্বারা রিং-বাঁধ ও মাটি দিয়ে স্লোপ নির্মাণ কাজের জন্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে মেসার্স জিয়াউল ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে একজন সাব-ঠিকাদার কাজ সম্পন্ন করেন। তবে অভিযোগ ওঠে কাজের মান নিয়ে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বিভাগ-২) উপ-সহকারী প্রকৌশল মশিউল আবেদিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে শাকবাড়িয়া নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হরিহারপুর লঞ্চঘাটের পূর্বপাশে বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। ওই স্থানে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া আছে। আশা করা যাচ্ছে, দ্রুত সময়ের মধ্য ওই এলাকার মানুষকে পানিবন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত করা যাবে।
-এটি