জুলফিকার জাহিদ।।
পাকিস্তানের শিয়ালকোটে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ায় শ্রীলংকান নাগরিক এক কারখানার ম্যানেজারকে হত্যার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রসিদ্ধ আলেম ও দায়ী মাওলানা তারেক জামিল।
মাওলানা তারেক জামিল বলেছেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অবমাননা করায় শিয়ালকোটে এক বিদেশি নাগরিককে জীবন্ত জ্বালিয়ে হত্যা করা হয়েছে, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।
মাওলানা তারেক জামিল বলেন, শুধু অভিযোগের ভিত্তিতে আইনকে হাতে তুলে নেওয়া ইসলামী শিক্ষা বিরোধী।
তিনি বলেন, ‘ইসলামে সহিংসতা ও চরমপন্থার কোন স্থান নেই। চরমপন্থা প্রতিরোধে আলেমদের ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে’।
এক টুইট বার্তায় এসব বলেছেন উপমহাদেশের প্রসিদ্ধ দায়ী আলেম মাওলানা তারেক জামিল।
প্রসঙ্গত, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ায় পাকিস্থানের শিয়ালকোটে একটি বেসরকারি কারখানার ম্যানেজারকে হত্যা করেছেন সেখানকার বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। কারখানার ম্যানেজার শ্রীলংকার নাগরিক বলে জানা গেছে।
খবরে জানা গেছে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ায় বিক্ষুব্ধ জনতা শ্রীলংকার সেই নাগরিককে টেনে হেঁচড়ে রাস্তায় নিয়ে আসেন এবং তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন।
আরো পড়ুন: ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: শিয়ালকোটে শ্রীলংকান নাগরিককে হত্যা
বিক্ষুব্ধ জনতার দাবি শ্রীলংকান নাগরিক এই ম্যানেজার বরাবরই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতেন। বিষয়টি সহ্যের বাইরে গেলে তারা তাকে হত্যা করেন।
দেশটির পুলিশ জানিয়েছেন শিয়ালকোটের একটি কারখানায় বিদেশি নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে বিষয়টির তদন্ত করা হচ্ছে।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী সরদার ওসমান বাজদার ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছেন।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, কারো জন্য আইন হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয়।
সূত্র: ডেইলি জং
এনটি