আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে নওগাঁর আদালতে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন নাহিদ রনি (৩৬) নামে এক যুবক।
নাহিদ রনি ‘মানবিক বাংলাদেশ সোসাইটি’ নামে একটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আদালতসূত্রে জানা যায়, মামলাটি আমলে নিয়ে নওগাঁর আমলি আদালত ৫-এর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহান মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে ২০২২ সালের ৩০ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম স্বপন বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও ধর্ষণের শিকার মা-বোনদের সংখ্যা নিয়ে বিবাদী বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধুকে নিয়েও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে ইতিহাস বিকৃত করেছেন। তার এ ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্যে দেশে বিশৃঙ্খলার তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে বাদী নৈতিকতার স্থান থেকে এ মামলাটি করেছেন। মামলাটি দণ্ডবিধি ৫০৪, ৫০৫ ও ৫০৫ (ক) ধারায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে মামলার আরজি করা হয়।
আদালতের বিচারক আরজি দেখে সন্তুষ্ট হয়ে মামলাটি আমলে নিয়েছেন। এ বিষয়ে আদালত পিবিআইকে তদন্ত করে আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
গত সেপ্টেম্বর গোপনে ধারণ করা মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ও গাজীপুর জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি এবং দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
গত ২৫ নভেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়রের পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
এনটি