আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কার্যালয়ে ঢুকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল (৫০) ও আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহাকে (৫৫) এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যার ঘটনায় আরো দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মামলার ৮ নম্বর আসামি নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুজানগর পূর্বপাড়া এলাকার নুর আলীর ছেলে জিসান মিয়া ও ওই ওয়ার্ডের সংরাইশ এলাকার বাদল মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ রাব্বি ইসলাম অন্তু।
সোমবার দুপুরে এ দুজনকে আদালতে প্রেরণ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক কায়সার হামিদ।
তবে এদিন শুনানি অনুষ্ঠিত না হওয়ায় আদালত আসামিদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এ নিয়ে আলোচিত এই জোড়া খুনের ঘটনায় ৬ জন গ্রেফতার হলেন।
সোমবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কায়সার হামিদ বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত ৮ নম্বর আসামি জিসানকে রোববার গভীর রাতে নগরীর সংরাইশ এলাকা থেকে এবং একই সময়ে অন্তুকে জেলার দেবীদ্বার থেকে গ্রেপ্তার করেছেন জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও পুলিশের সদস্যরা। অন্তু মামলার এজাহারভুক্ত আসামি না হলেও তদন্তে ঘটনায় তার জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। তবে এখনো শুনানি হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথরিয়াপাড়া থ্রিস্টার এন্টারপ্রাইজে কাউন্সিলর কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ওই দুইজন। কাউন্সিলর সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। নিহত হরিপদ সাহা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
এ ছাড়া এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরো পাঁচজন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জোড়া খুনের ঘটনায় গত ২৩ নভেম্বর রাতে কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৮ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
-এএ