নুরুদ্দীন তাসলিম
মারকাজি ইজতেমা থেকে>
বাংলাদেশে থানভি সিলসিলার এক নূরানী মেহনতের নাম মজলিসে দাওয়াতুল হক। সুন্নাতের উপর জোর দেয়া এ ইসলাহী মেহনতের মাধ্যমে অনেক মানুষ দীন পেয়েছে। খুঁজে পেয়েছে সুন্নাতের পথ। ফিরে এসেছে অন্ধকার থেকে আলোর পথে। লাভ করেছে ঈমানী সৌরভ। জীবনের প্রতিটি কাজে সুন্নাতের অনুসরণ কিভাবে করতে হবে তা শিখানো হয় মজলিসে দাওয়াতুল হক থেকে। মজলিসে দাওয়াতুল হকের কর্মসূচি সুন্নাতকে জিন্দা করার কর্মসূচি। এখানে মানুষ নিজের অর্থ, শ্রম ও সময় ব্যয় করে সুন্নাত শিখে। সে মোতাবেক নিজের জীবন পরিচালনা করার সংকল্প করে।
আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের মারকাজি ইজতেমার মূল পর্ব শুরু হয়।
কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় মজলিসে দাওয়াতুল হকের মারকাজি ইজতেমা।
এর আগে বাদ ফজর আগত মেহমানদের উদ্দেশে স্বাগত বয়ান করেন মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশের আমির আল্লামা মাহমুদুল হাসান। বয়ান তিনি বলেন, জাহেলী যুগ বলে যে যুগে কোন নবী নাই। ঈমান নাই। তাওহীদ নাই। নেকি বলতে কিছু নাই। হযরত ঈসা আ. এর সময় থেকে রাসূল সা. পর্যন্ত পৃথিবীতে কোন নবী নাই। ওহী নাই। বৃষ্টি না হইলে যেমন খড়া পড়ে। তেমন দ্বীনের খড়ে পড়ে গেছে। ঈমান শব্দটাই জানে না। এই পরিস্থিতিতে রাসূল সা. দুনিয়ায় আসছে। যখন ভূতের (মূর্তি) পূজা করা হইত। সূর্য চন্দ্রের পূজা করা হয়। আল্লাহর ইবাদতের কেউ নাই। রাসূল সা. আফতাবে নবুওয়াত হয়ে আসলেন। নবুওয়াতের সূর্য হয়ে আসলেন। সিরাজে মুনিরা হয়ে আসলেন। ফলে দুনিয়ার যত আভ্যন্তরিত অন্ধকার, আধ্যাত্মিক অন্ধকার দূর করলেন। সূর্য আস্তে আস্তে পৃথিবীর অন্ধকার দূর হয় কিন্তু পুরো পৃথিবীর অন্ধকার দূর হয়। পরে সাহাবায়ে কেরাম থেকে সে ধারাবাহিকতা আজ পর্যন্ত চলছে।
ব্যক্তিজীবনে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর সুন্নত এর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রতিবছর ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়।
-এএ