বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে দেশ: ফখরুল চক্রান্তের ফাঁদে না পড়ে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণের আহ্বান শায়খ আহমাদুল্লাহর ভোলায় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও স্মরণসভা চরমোনাইর বার্ষিক অগ্রহায়ণ মাহফিল বুধবার, চলছে সর্বশেষ প্রস্তুতি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান আসিফ মাহমুদের অসহায় শীতার্তের পাশে মাওলানা গাজী ইয়াকুবের তাকওয়া ফাউন্ডেশন দেশের তিন জেলায় শিক্ষক নিচ্ছে ‘আলোকিত মক্তব’ বৃদ্ধার দাড়ি টেনে ছিঁড়ে ফেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবন্ধীদের ধর্মীয় ও কারিগরি শিক্ষা দিতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে: ধর্ম উপদেষ্টা ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র করার ষড়যন্ত্র সফল হবে না: মাওলানা আরশাদ মাদানী

হাজরে আসওয়াদে চুমো ও হাতিমে নামাজ চালুর পরিকল্পনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী করোনার সংক্রমণ কমে আসায় চলাচল ও যাতায়াত ব্যবস্থা দিন দিন স্বাভাবিক হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা শিথিলের পর সৌদি কর্তৃপক্ষ মসজিদে নববি নামাজের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরছে মসজিদে হারামেও।

পবিত্র ওমরা পালনকারীদের সংখ্যা বাড়ানো, বিদেশি ওমরাযাত্রীদের ভিসা প্রদান ও নামাজ আদায়কারীদের জন্য মসজিদে হারামে যাতায়াত আগেই সহজ করা হয়েছে। সম্প্রতি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, নফল তাওয়াফকারীদের জন্য মসজিদে হারামের প্রথম তলা উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। করোনা পরবর্তী সময়ে কাবা শরিফ উন্মুক্ত করা হলেও নফল তাওয়াফের কোনো সুযোগ ছিলো না। এখন চাইলে ওমরা ছাড়া শুধুমাত্র নফল তাওয়াফ করা যাবে।

এরই মাঝে হারামাইন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিকল্পনা করা হচ্ছে- দ্রুততম সময়ের মধ্যে হাজরে আসওয়াদে (কালো পাথর) চুমো দেওয়া এবং হাতিমে কাবায় (কাবার বর্ধিতাংশ) নামাজ আদায়ের জন্য অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন পদ্ধতি চালু করে অনুমতি দেওয়ার।

এজন্য ইতামারনা অ্যাপস আপডেট করে নতুন অপশন চালু করা হবে। এই অ্যাপসে নিবন্ধন করে হাজরে আসওয়াদে চুমো ও হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সময় বুকিং দেওয়া যাবে। পরে নির্ধারিত সময়ে কালো বেহেশতি পাথরে চুমো ও হাতিমে কাবার কোনো ধরনে ভিড় ছাড়া নামাজ আদায় করা যাবে।

করোনা মহামারি শুরুর পর হাজরে আসওয়াদে চুমো দেওয়া ও হাতিমে কাবায় প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়। হজ-ওমরা পালনকারীরা হাতিমে কাবায় নামাজ আদায় ও হাজরে আসওয়াদে চুমো দেওয়ার জন্য উদগ্রীব থাকেন। অন্য সময় এই দুই স্থানে সারাক্ষাণ ভিড় থাকত। করোনোর মহামারি শুরুর পর প্রথমে হাজরে আসওয়াদ ও হাতিমে কাবা বেষ্টনি দিয়ে রাখা হয়। পরে বেষ্টনি সরিয়ে ফেলা হলেও তার কাছে কেউ যেতে পারে না।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কিভাবে সহজ পদ্ধতিতে ওমরাকারীদের মনের আকাঙ্খা মেটানো যায়, সে লক্ষে হারামাইন কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। তদের প্রত্যাশা, দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোনো ধরনের বিধি-নিষেধ ছাড়া নিরাপদে ইবাদত-বন্দেগির পরিবেশ ফিরে আসবে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ