আবদুল্লাহ তামিম।। রাজধানী ঢাকার ইসলামবাগ মাদরাসায় মুহতামিম ও শাইখুল হাদিস স্বপদে ফিরে এসেছেন শাইখুল হাদিস মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী। তাকে ভক্তবৃন্দ, ছাত্র- উস্তাদ, এলাকাবাসী ফুলেল সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানায়।
আজ রোববার দুপুরে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব শাইখুল হাদিস মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীকে মিছিলের মাধ্যমে ইসলামবাগ মাদরাসার ভক্তবৃন্দ, ছাত্র- উস্তাদ ফুলেল সংবর্ধনা জানায়। এর আগে ২০১৩ সালের ৫ মের এক মামলায় তিনি কারা বরণ করেন। গত ১৫ এপ্রিল রাত সাড়ে নয়টার দিকে রাজধানীর ইসলামবাগ এলাকা থেকে মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীকে আটক করে ডিবি পুলিশ। এরপর থেকে কয়েকদফা রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই ছিলেন।
কারাগারে থাকাবস্থায় তাকে মাদরাসার শাইখুল হাদিস ও মুহতামিমের পদ থেকে অব্যহতি দেয়া হয়। অবশেষে আজ রোববার তিনি মাদরাসার শাইখুল হাদিস ও মুহতামিম পদে পুনর্বহাল হোন। বিষয়টি আওয়ার ইসলামকে নিশ্চিত করেছেন ইসলামবাগ মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা দিদার শফিক।
তিনি জানান, শাইখুল হাদিস মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী ইসলামবাগ মাদরাসায় ফুলেল সংবর্ধনার পর মাদরাসা মসজিদে ছাত্র শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে নসিহত পেশ করেন।
মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী শৈশব থেকেই একটি রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে ওঠেছেন। চিন্তা দর্শনও পেয়েছেন দেওবন্দী আদর্শের। তার দাদাজান মরহুম মাওলানা ইহসানুল হক আফেন্দি একজন খ্যাতিমান আলেম ছিলেন। ছিলেন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অগ্র সেনানী। তার দাদা মাওলানা ইহসানুল হক রচিত ‘বর্তমান রাজনৈতিক সংকট ও মুসলমানদের কর্তব্য’ নামে ব্রিটিশ বিরোধী গ্রন্থ রচনা করেন। গ্রন্থ রচনার অপরাধে দেড় বছর স্বশ্রম কারাভোগও করেছেন তিনি।
উপমহাদেশের শাইখুল হাদিস ও ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের মহানায়ক আল্লামা হুসাইন আহমদ মাদানীর সঙ্গে তার দাদার ছিলো পরম সখ্য। শিষ্য ইহসানুল হক আফেন্দির টানে নীলপামারীর ডোমার এলাকার সোনারায় গ্রামে বারবার ছুটে এসেছেন আল্লামা হুসাইন আহমদ মাদানী রহ.। এখনো আল্লামা হুসাইন আহমদ মাদানী রহ. এর স্মৃতিবিজড়িত জুতা বদনা ও নানা সামগ্রী সংরক্ষিত আছে মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীর বাড়িতে।
মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীর বাবা জনাব রশিদুল হাসান জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে একজন চেয়ারম্যান ছিলেন। মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্র জামিয়তের সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন। নন্দিত এ ওয়ায়েজ মুজাহিদে মিল্লাত আল্লামা শাসসুদ্দিন কাসেমী রহ. এর হাতেগড়া সন্তান।
আত্মসুদ্ধী বা তাসাউফের দীক্ষা নিয়েছেন শাইখুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফী রহ. এর কাছ থেকে। বায়াতও হয়েছেন খেলাফতও গ্রহণ করেছেন। দেওবন্দী চিন্তা দর্শন ও হজরত মাদানীর আদর্শ লালনকারী পরীক্ষিত এ মানুষটি জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নির্বাচিত হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে জমিয়তের নেতাকর্মীদের মাঝে।
-এটি