আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির গতকালের সভায় গাজীপুর নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এ সিদ্ধান্তের পর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে হয়তো ভুল বোঝানো হয়েছে বা ভুল মেসেজ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু করোনাকালীন, তাই হয়তো একমুখো শুনেছেন, তাই হয়তো এমনটা হয়েছে। উনি সঠিকটা জানলে হয়তো কোনো দিনই ব্যবস্থা নিতেন না। তারপরও তিনি রাষ্ট্রের, দেশের, দলের অভিভাবক। উনি যা ভালো মনে করেন, আমি মাথা পেতে নেব।’
গাজীপুরের এ নগরপিতা বলেন, ‘আমি মেয়র হওয়ার পর ব্যাপক উন্নয়ন করেছি, যা অতীতে কখনো হয়নি। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর দলের নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজি বন্ধ করেছি। দলকে আরও সুসংগঠিত করেছি।’
মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের একটি কথোপকথন গত সেপ্টেম্বরে ভাইরাল হয়। সেখানে জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে তার মন্তব্য ঘিরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশ প্রতিবাদে নামে। তারা জাহাঙ্গীরের বহিষ্কার দাবি করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে গাজীপুর নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ১৮ অক্টোবরের মধ্যে এর জবাবও দেন তিনি। কিন্তু সেই জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় গতকাল বিকালে গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে জাহাঙ্গীরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন।
-কেএল