আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রতিবাদে পরিবহন ধর্মঘটের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে ভোগান্তিতে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার সকাল ১০ টার ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় বেলা ১১টায়।
ধর্মঘটেও কেন পরীক্ষা নেয়া হয়েছে কারণ জানালেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আক্তারুজ্জামান। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা মনস্তাত্ত্বিকভাবে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হয়েছিল। পরীক্ষা না নিলে আরেক ভোগান্তি তৈরি হতো।
ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, সরকারি কবি নজরুল কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজে বাণিজ্য ইউনিটের ভর্তি অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ অনুষদটির ৫ হাজার ৩ শত আসনের বিপরীতে মোট ২৩ হাজার ৭০০ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছিল।
এদিকে পরিবহন ধর্মঘট চলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীরা বিপাকে পরেছে। বাস না পেয়ে হেঁটে কিংবা রিকশায় ৪ থেকে ৫ গুন বেশি ভাড়া দিয়ে কেন্দ্রে পৌঁছাতে হয়েছে তাদের।
মেজবাউল হোসেন নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘গাড়ি না থাকায় রিকশায় আসতে হয়েছে। ফলে বিভিন্ন মোড়ে যানজটে পড়ে ১৫ মিনিট দেরিতে কেন্দ্রে প্রবেশ করেছি। আমার হলেও অনেক পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।’
জিন্নুরাইন নামে আরেক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘গাইবান্ধা থেকে পরীক্ষা দিতে ঢাকায় এসেছি। ধর্মঘটের আগেই রওনা হওয়ায় সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছাই। কিন্তু এখন বাড়িতে কীভাবে যাব তা জানি না।’
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, পরীক্ষা বন্ধ রাখলে আরেকটি ভোগান্তি শুরু হতো। কারণ শিক্ষার্থীরা মনস্তাত্ত্বিকভাবে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হয়েছিল। এই প্রস্তুতি একটা জাতিকে ওপরের দিকে নেয়। এমন প্রতিকূলতা বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে সামনের দিকে যেতে হবে।
এনটি