সাখাওয়াত রাহাত।।
ছবিতে যাকে দেখা যাচ্ছে তিনি মুহাম্মদ কামাল ইসমাইল রহ.। তিনি ছিলেন একজন মিসরীয় স্থপতি। বাদশাহ ফাহদের আদেশে তিনিই হারামাইন শরিফাইন তথা মক্কার মসজিদে হারাম এবং মদিনার মসজিদে নববীর নকশা ও সম্প্রসারণ করেছিলেন। কোল্ড মার্বেল, বৈদ্যুতিক গম্বুজ ও ছাতার ধারণার প্রবক্তাও ছিলেন তিনি।
তার সর্বাধিক প্রসিদ্ধ কাজ হলো মক্কার মসজিদ আল-হারাম ও মদিনার মসজিদে নববীর সম্প্রসারণ। একই সঙ্গে মিশরের মোগাম্মা এবং মিশরের হাইকোর্ট ভবনের নাম নকশা ও সম্প্রসারণেও তার ভুমিকা ছিল।
মিশরের ইতিহাসে তিনিই ছিলেন প্রথম সর্বকনিষ্ঠ শিক্ষার্থী- যিনি হাইস্কুল শেষে ‘রয়েল স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং’-এ ভর্তি হয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ইউরোপে পাঠানো ছাত্রদের ভেতরেও তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ, ইসলামি স্থাপত্যশৈলীর ওপর তিনটি ডক্টরেট ডিগ্রিপ্রাপ্ত প্রথম মিশরীয় প্রকৌশলী।
মোহাম্মাদ কামাল ইসমাইল প্রথম প্রকৌশলী, যিনি হারামাইন (মক্কা-মদিনা) সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের ভার নিজের কাঁধে তুলে নেন। এই সুবিশাল কর্মযজ্ঞ তত্ত্বাবধান করার জন্য সৌদি বাদশাহ ফাহাদ এবং বিন লাদেন গ্রুপের সুপারিশ থাকা সত্ত্বেও তিনি কোনো পারিশ্রমিক গ্রহণ করেননি।
ঈর্ষণীয় বিষয় হলো—এই সুবিশাল কর্মযজ্ঞ তত্ত্বাবধান করার জন্য সৌদি বাদশাহ ফাহাদ এবং বিন লাদেন গ্রুপের সুপারিশ থাকা সত্ত্বেও তিনি কোনো পারিশ্রমিক গ্রহণ করেননি। পারিশ্রমিক গ্রহণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে উল্টো বলেছিলেন—এই পবিত্র কাজের পারিশ্রমিক গ্রহণ করে আমি কীভাবে আল্লাহর মুখোমুখি হব?
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ৪৪ বছর বয়সে বিয়ে করেন। তার স্ত্রী সন্তান জন্ম দিয়ে মারা যান। এরপর তিনি আর বিয়ে করেননি।
২ আগস্ট ২০০৮ সালে ৯৯ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন। আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি তৈরি করে দিন। সূত্র: উইকিপিডিয়া
-ওআই/আবদুল্লাহ তামিম